শ্রীনগর: নাশকতা কাশ্মীরের কোনও নতুন বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। স্বাধীনতার পর থেকে তা ঘটে চলেছে। করোনার কারণে এক বছর বিরতি নিলেও ফের ভূস্বর্গে শুরু হয়ে গিয়েছে অশান্তি। যা নিয়ে জঙ্গি এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কড়া বার্তা দিলেন জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা।
আরও পড়ুন- হাইড্রোজেনে চলবে ট্রেন, বাঁচবে পরিবেশ, উদ্যোগ ভারতীয় রেলের
রবিবার জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাম জেলার কুন্দ এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মনোজ সিনহা। সেখানেই বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। উপরাজ্যপাল বলেছেন, “কাশ্মীর সুফি সন্ন্যাসীদের জায়গা ছিল, এখানে হিংসার কোনও জায়গা নেই। যারা হিংসার পথে হাঁটবে তাদের শাস্তি মৃত্যু।”
আরও পড়ুন- চা বাগান শ্রমিকদের বেতনের টাকা উদ্ধার, গ্রেফতার পাঁচ জন
ভূস্বর্গে হিংসার জন্য অনেকাংশে দায়ী করা হয় ওই সেখানের বেকারত্বকে। সীমান্তের ওপার থেকে অর্থনৈতিক সাহায্য পেয়ে ভারত বিরোধী কাজে লিপ্ত হয়ে যায় কাশ্মীরের যুবসমাজ। সেই ঘটনা আর ঘটবে না বলে দাবি করেছেন মনোজ সিনহা। তিনি জানিয়েছেন যে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন অনেক নতুন প্রকল্প নিয়ে আসছে যাতে যুবসমাজ অনেক শক্তিশালী হবে।
আরও পড়ুন- ইন্ডিয়ান ওমেন প্রেসক্লাব (IWPC)-কে সরকারি বাংলো বরাদ্দ বাতিল করল কেন্দ্র
গত বুধবার সংসদের উচ্চকক্ষে জম্মু-কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলা এবং এনকাউন্টার সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ওই দফতরের প্রতিমন্ত্রী রাজ্যসভায় লিখিত জবাবে জম্মু-কাশ্মীরের হিংসার সার্বিক চিত্র তুলে ধরেছেন। যেখানে গত তিন বছরে জম্মু-কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া নানাবিধ হিংসার পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন যে গত তিন বছরে ভারতীয় সেনা জওয়ান এবং পুলিশের পক্ষ থেকে ৪০০ এনকাউন্টার করা হয়েছে। ওই সকল এনকাউন্টারের কারণে ৬৩০ জন জঙ্গিকে খতম করতে সক্ষম হয়েছে বাহিনী। যা জঙ্গি দমনে ভারতের বড় সাফল্য বলেই মনে করা হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর ৮৫ জন সদস্য জঙ্গি হানার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী মহাশয়।
আরও পড়ুন- পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল নব্য তৃণমূলীদের বিরুদ্ধে
দুই বছর আগে ২০১৯ সালের পাঁচ অগস্ট কাশ্মীরের উপর থেকে সংবিধানের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে ওই সিদ্ধান্তে কাশ্মীরের উপরে পাকিস্তানের প্রভাব কম হবে। সেই সঙ্গে কমে যাবে জঙ্গিবাদ। এর আগে ২০১৬ সালে নোট বাতিলের সময়েও একই দাবি করা হয়েছিল কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। যদিও বাস্তবে তা ঘটেনি।