লখনউ: বছর গড়ালেই উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন৷ তার আগে যোগী রাজ্যে দাঁড়িয়ে গো-রক্ষকদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত৷ বললেন, ‘গণপিটুনিতে যুক্তরা হিন্দুত্ববিরোধী৷ কোনও পক্ষপাত ছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত৷’
গো-মাংস রাখার গুজবে খুন করা হয়েছিল বছর ৫০-এর মহম্মদ আখলাককে৷ কয়েক বছর আগে উত্তরপ্রদেশের দাদরির এই ঘটনায় চমকে উঠেছিল গোটা দেশ৷ তারপর গঙ্গা দিয়ে গড়িয়েছে জল৷ সময়ের সঙ্গে বেড়েছে গো-রক্ষকদের আস্ফালন৷ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে গো-রক্ষা৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, সম্ভবত সেটা আঁচ করে তাই আগে ভাগেই গো-রক্ষকদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করলেন মোহন ভাগবত৷
আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডের কনিষ্ঠতম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ পুষ্কর সিং ধামির
রবিবার গাজিয়াবাদে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন সঙ্ঘ প্রধান৷ তিনি বলেন, ‘যদি কোনও হিন্দু বলে এখানে কোনও মুসলিমের থাকা চলবে না তাহলে সেই ব্যক্তি হিন্দু নন৷ গোরু পবিত্র প্রাণী৷ কিন্তু যাঁরা গণপিটুনির মতো ঘটনায় জড়িত থাকেন তাঁরা হিন্দুত্ব বিরোধী কাজ করছেন৷’
ওই মঞ্চ থেকে দাঁড়িয়ে হিন্দু-মুসলিম সংহতির বার্তাও দেন তিনি৷ জানান, সংহতি না থাকলে দেশের উন্নতি সম্ভব নয়৷ সেই সংহতির মূল ভিত্তি হওয়া উচিত জাতীয়তাবাদ৷ তাছাড়া গণতান্ত্রিক দেশে কোনও এক সম্প্রদায়ের আধিপত্য বেশি থাকা উচিত নয়৷ কেবলমাত্র ভারতীয়দের আধিপত্য থাকা উচিত৷ মোহন ভাগবত বলেন, ‘আমাদের পুূর্বপুরুষ এক৷ ৪০ হাজার বছর আগে সেই পূর্বপুরুষ থেকে আমরা এসেছি৷ তাই ভারতবাসীর সবার ডিএনএ এক৷ হিন্দু এবং মুসলিম আলাদা নয়৷ কাজেই ঐক্যের প্রশ্নই আসে না৷ আমরা এক৷’ হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের জন্য রাজনীতিকেই দায়ী করেন তিনি৷ বলেন, ‘কিছু কাজ রাজনীতির দ্বারা সম্ভব নয়৷ মানুষকে কাছে আনার চেয়ে রাজনীতি বিভেদ তৈরির অস্ত্র হয়ে ওঠে৷’
আরও পড়ুন: বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলার জের, শ্রীনগরে নিষিদ্ধ ড্রোন
গো-হত্যা নিয়েও মুখ খোলেন মোহন ভাগবত৷ স্বীকার করে নেন, গো-রক্ষার নামে অনেক মিথ্যা অভিযোগ, মামলা দায়ের হয়েছে৷ তিনি বলেন, গণপিটুনি হিন্দুত্ব বিরোধী৷ তাই বলে এটা ভাবার কোনও কারণ নেই ভারতে ইসলাম ধর্ম বিপদে পড়েছে৷’