ওয়েবডেস্ক- দিল্লিতে (Delhi) নাশকতার ছক (Terror Strike) ! সেই রকমই পরিকল্পনা ছিল বলে গোয়েন্দাসূত্রে খবর। দিল্লি পুলিশ আইএসআই স্লিপার সেল (ISI Sleeper Cell ) নেটওয়ার্কের সন্ধান পেয়েছে। দুজন এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম আনসারুল মিঁয়া আনসারি ও অপরজনের নাম আখলাক। এদের মধ্যে নেপালি বংশোদ্ভূত হল আনসারুল। আনসারুল মিয়াঁ আনসারির কাছ থেকে পুলিশ বহু গোপন নথি উদ্ধার করেছে। পুলিশ চলতি মাসের জানুয়ারি মাসেই এদের সম্পর্কে গোপন সূত্রে খবর পায়।
এই আনসারুল ভারতীয় সেনার তথ্য পাকিস্তানে পাচার করত। পুলিশের কাছে খবর আসে, আইএসআই গুপ্তচর নেপালের পথ ধরে ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করবে। ভারতীয় সেনার বিভিন্ন দফতর, ঘাঁটির তথ্য, ছবি ও জিওলোকেশন পাকিস্তানে পাচারের উদ্দেশ্য ছিল তাদের। এরা দুজনেই দিল্লিতে স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করত। এদের যোগসূত্র ধরে রাঁচি থেকে আখলাক আজম নামে আরও এক পাক চরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই আখলাকই আনসারুলকে পাকিস্তানে সেনার গোপন তথ্য পাঠাতে সাহায্য করত।
আরও পড়ুন-‘জঙ্গিদের অস্ত্র করে ভারতের বিরুদ্ধে লড়ে পাকিস্তান’: মোদি
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পহেলগাঁম হামলার আগেই দিল্লিতে নাশকতার পরিকল্পনা ছকেছিল এই পাক স্লিপার সেলের সদস্যরা। দিল্লি পুলিশ এই জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত অভিযান চালায়। এর মধ্যে চলতি বছরের ফেব্রয়ারিতেই আনসারিকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। তার কাছ থেকেও সেনার বিষয়ে বহু তথ্য উদ্ধার করে পুলিশ। কাজ শেষ করে নেপাল হয়ে পাকিস্তানে পালানোর পরিকল্পনা ছিল।
এই আনসারুল মিঁয়ার সমস্ত নাশকতার প্রশিক্ষণ হয়েছিল রাওয়ালপিন্ডিতে। তার দায়িত্ব ছিল ভারতের সেনার যাবতীয় তথ্য সিডিতে করে পাকিস্তানে পাঠাতে।
দিল্লির একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার হওয়া নেপালি আনসারুল মিঁয়া আনসারির দাবি সে কাতারে ক্যাব চালাত। যেখানে তার সঙ্গে একজন আইএসআই হ্যান্ডলারের দেখা হয়েছিল। পরে আনসারুলকে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে তাকে বেশ কয়েকদিন ধরে আইএসআইয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ দেয়।
এই তদন্তে দিল্লি দূতাবাসের বেশ কিছু কর্মীও পুলিশের সন্দেহের খাতায়। ভারতীয় ইউটিউবার এবং সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবশালীদের প্রভাবিত করার চেষ্টাকারী আইএসআই অফিসার মুজাম্মিল এবং এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশও এই পরিকল্পনায় জড়িত বলে অনুমান।
উল্লেখ্য, লজ্জা নেই পাকিস্তানের। ভারতের হুঙ্কার, অপারেশন সিঁন্দুর, জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান সব কিছুকেই ছাপিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের বেহায়া আচরণ। সন্ত্রাসী হামলা যেন তাদের মজ্জার মধ্যে ঢুকে আছে। জ্যোতি মালহোত্রা সমেত এখনও ১১ জন সন্দেহভাজন পাক চরকে পাকরাও করেছে পুলিশ। চলছে তদন্ত থেকে জেরা।
দেখুন আরও খবর-