ফাইজার এবং বায়োএনটেক (Pfizer-BioNTech) ঘোষণা করেছে কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বাড়াতে তৃতীয় ডোজের (Third Doze) অনুমোদন চাওয়া হবে। কারণ ডেল্টা স্ট্রেন এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলিতে ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এছাড়াও ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও করোনার প্রকোপ আবার বেড়েছে। তাই ভ্যাকসিনের দুটির বদলে দেওয়া হবে তিনটি ডোজ।
২০২০ সালের গোড়ার দিকে বিশ্বব্যাপী করোনা অতিমারী শুরু হওয়ার পর থেকে ডেল্টা স্ট্রেন (Delta Varient) সবচেয়ে সংক্রামক স্ট্রেন। আর ভাইরাসের এই মূল স্ট্রেনের বিরুদ্ধে আরও প্রতিরোধ শক্তি তৈরি করার জন্য প্রয়োজন হতে পারে তৃতীয় ডোজ। ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১২ মাসের মধ্যে এই তৃতীয় ডোজ নিলে তা টিকা বুস্টারের কাজ করবে। যার ফলে দেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও ১০ শতাংশ বাড়বে। এমনকী মুক্তিও পাওয়া যেতে পারে এই মারণ ভাইরাস থেকে।
ফাইজার ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নেওয়ার পর বাকি ভ্যাকসিনের থেকে কম পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। এমনকী ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা আবার ছয় মাসের মধ্যেই কমতেও শুরু করছে বলে গবেষনায় ধরা পড়ে। সেই কারণেই এই তৃতীয় ডোজের আবেদন করার পরিকল্পনা চালাচ্ছে সংস্থা। আগামী অগাস্ট মাস থেকেই চালু হবে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল পর্ব।