নয়াদিল্লি: কুতুব মিনার একটি সংরক্ষিত স্মৃতিসৌধ। ১৯১৪ সাল থেকে সংরক্ষিত সৌধ হিসেবেই কুতুব মিনারকে রক্ষা করা হয়েছে। এর কোনও অংশের, কাঠামোর পরিবর্তন সম্ভব নয়। সংরক্ষিত এলাকা বলে চিহ্নিত এলাকায় কোনও ভাবেই নতুন করে প্রার্থনার অনুমোদন দেওয়া যায় না। কুতুব মিনার সংক্রান্ত একটি মামলায় দিল্লি সাকেত আদালতে জানাল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া।
কুতুব মিনার কমপ্লেক্সে প্রার্থনার অধিকার চাওয়া পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল দিল্লির সাকেত আদালতে। সেই আবেদনে বলা হয়েছিল, কুতুব মিনারে হিন্দু দেব-দেবীর বহু মূর্তি রয়েছে। কুওয়াত-উল-ইসলাম মসজিদটি ২৭টি হিন্দু ও জৈন মন্দির ভেঙে ফেলার পর তৈরি করা হয়েছিল। কমপ্লেক্সের অনেক জায়গায় কলশ, স্বস্তিক এবং পদ্মের মতো প্রতীক রয়েছে। তাই কুতুব মিনার কমপ্লেক্সে প্রার্থনার অধিকার দেওয়া হোক।
আবেদনে ভগবান বিষ্ণু, ভগবান শিব, ভগবান গণেশ, ভগবান সূর্য, দেবী গৌরী, ভগবান হনুমান এবং জৈন দেবতা তীর্থঙ্কর ভগবান ঋষভ দেবকে মন্দির চত্বরে পুনর্বাসনের অধিকার দেওয়ার দাবি করা হয়। কুতুব মিনারে খনন ও জরিপ নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি খবর ছড়ায়। যা অস্বীকার করেছেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কুতুব মিনার খোঁড়ার নির্দেশ দেয়নি।
আরও পড়ুন: Madhya Pradesh: স্ত্রীকে ৯০ হাজারের মোপেড উপহার প্রতিবন্ধী ভিখারির
সম্প্রতি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন আঞ্চলিক অধিকর্তা ধরমবীর শর্মা দাবি করেন, কুতুব মিনার কমপ্লেক্সে নির্মাণ হয়েছিল পঞ্চম শতকে রাজা বিক্রমাদিত্যের আমলে৷ তার এই দাবির পর কুতুব মিনার নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) মুখপাত্র বিনোদ বনসাল দাবি করেন, কুতুব মিনার আসলে ‘বিষ্ণু স্তম্ভ’ ছিল এবং ২৭টি হিন্দু-জৈন মন্দির ভেঙে ফেলার পর প্রাপ্ত সামগ্রী দিয়ে কাঠামোটি তৈরি করা হয়েছিল।