ওয়েব ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) নেতৃত্ব দিয়ে দেশবাসীর কাছে সম্মান এবং পরিচিতি পেয়েছেন ভারতীয় সেনার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি (Colonel Sofia Qureshi)। বুধবার সকালে সেনার সাংবাদিক বৈঠকে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংয়ের (Wing Commander Vyomika Singh) সঙ্গে ভারতীয় সেনার সামরিক যোগাযোগ ও ইলেকট্রনিক্স অভিযান সহায়ক শাখা সিগন্যাল কর্পস-এর শীর্ষ পদে থাকা সোফিয়া কুরেশি ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কীভাবে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলোকে নিশানা করে ধ্বংস করা হয়েছে। জানেন কি, আদতে কে এই সোফিয়া কুরেশি? চলুন তাঁকে একটু ভালোভাবে চিনে নেওয়া যাক।
মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই কর্নেল সোফিয়া সেনাবাহিনীর একাধিক ঐতিহাসিক অভিযানের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক মহলে প্রথমবার নজর কাড়েন তিনি। ওই বছর পুণেতে আয়োজিত ভারতের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ বহুজাতিক সামরিক মহড়ায় নেতৃত্ব দেন সোফিয়া। ২ থেকে ৮ মার্চ অনুষ্ঠিত সেই মহড়ায় বিশ্বের ১৮টি দেশের সেনারা অংশ নেয়— যার মধ্যে ছিল আমেরিকা, রাশিয়া, জাপান ও চিনের মতো শক্তিধর দেশ। কোনও দেশের পক্ষ থেকেই মহড়ার নেতৃত্বে মহিলা ছিলেন না; সেই ইতিহাস ভেঙে সোফিয়া প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসাবে এই দায়িত্ব পান। সে সময় তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: “দেশের সম্মান নিয়ে ছেলেখেলা বরদাস্ত করা হবে না,” সাফ বার্তা যোগীর
তবে শুধুমাত্র দেশের মাটিতেই নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও শান্তিরক্ষা অভিযানে অবদান রেখেছেন সোফিয়া। ২০০৬ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা মিশনের আওতায় কঙ্গোতে সামরিক পর্যবেক্ষক হিসাবে কাজ করেছিলেন তিনি। সেনাবাহিনীর পরম্পরায় বেড়ে ওঠা সোফিয়ার পরিবারেও রয়েছে সেনার ইতিহাস। তাঁর ঠাকুরদা ভারতীয় সেনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমনকি সেনা পরিবারের সদস্যকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি।
সেনার শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মহল, সবক্ষেত্রেই সোফিয়া আজ এক অনুপ্রেরণার নাম। ‘অপারেশন সিঁদুরে’ও তাঁর কৃতিত্বে ফের একবার গর্বিত আপামর ভারতবাসী।
দেখুন আরও খবর: