নয়াদিল্লি: বেআইনি প্যাথলজি ল্যাবের বিরুদ্ধে কেন আপ সরকার পদক্ষেপ করছে না? এই প্রশ্নেই দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সৌরভ ভরদ্বাজ এবং স্বাস্থ্য সচিব এসবি দীপক কুমারকে আদালতের হুঁশিয়ারি।
কেন্দ্রীয় সরকার বা স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে আপ সরকার কোনওভাবেই আদালতকে হাতিয়ার করতে পারে না বলে জানিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহন ও মনমিত প্রীতম সিং অরোরার ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে মুখ খুললেন মমতা
আপনারা যা করছেন, তা মানা যাচ্ছে না। এমন চললে দু’জনকেই জেলে যেতে হবে। যদি সাধারণ মানুষ লাভবান হবে বলে মনে হয়, তাহলে আপনাদের জেলে পাঠাতে আমরা দ্বিধা করব না বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি।
জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ, দেশের রাজধানীর শহরে অজস্র অনুমোদনহীন প্যাথলজিক্যাল এবং ডায়গনস্টিক ল্যাবরেটরি চলছে অযোগ্য ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানদের দ্বারা। কেন দিল্লি সরকার তাদের ২০২২ সালের স্বাস্থ্যবিল কার্যকর করছে না? প্রশ্ন তুলেছিল আদালত। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিবকে ব্যক্তিগত হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০২২ সালের মে মাসেই বিলটি চূড়ান্ত হয়েছে। কিন্তু কোন এক গোপন স্বার্থে তা কার্যকর হচ্ছে না। আদালত হস্তক্ষেপ করলে ভালো হয়। হাজিরা দিয়ে আদালতকে জানান ভরদ্বাজ।
ওই বিল কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠাতে চাও। কিন্তু নিজে না পাঠিয়ে আদালত মারফত। আমরা রাজনীতিবিদ নই, কিন্তু রাজনীতিবিদরা কিভাবে ভাবেন, তা বুঝি। এ তো অনেকটা দাবা খেলা। আদালতকে ব্যবহার করার উদ্দেশ্য। সতর্ক হন, না হলে জেলে যেতে হবে। মন্তব্য ডিভিশন বেঞ্চের। মন্ত্রী ও সচিবকে একসঙ্গে বসে সমাধানসূত্র বের করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ৪ এপ্রিল পরবর্তী শুনানি।