ওয়েব ডেস্ক: সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই টেট (Teacher’s Eligibility Test) যোগ্যতা বাধ্যতামূলক বলে রায় দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট (Madras High Court)। বিচারপতি নিশা বানু ও বিচারপতি এস শ্রীমতির মন্তব্য, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের আছে। তাই সরকার যখন টেট যোগ্যতা সেই ক্ষমতা অনুযায়ী নির্ধারণ করেছে, তা সকলের জন্যই প্রযোজ্য এবং বাধ্যতামূলক।
সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে টেট যোগ্যতা বাধ্যতামূলক নয়, একক বিচারপতির এমন রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিল রাজ্য। টেট সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক নয় বলে বেশ কিছু রায় রয়েছে। দ্বিতীয়ত, শিক্ষার অধিকার আইন (Right To Education Act) সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আর শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী তৈরি হয়েছে টেট। তাই টেট যোগ্যতা সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলে দাবি করেছিল মূল মামলাকারী।
আরও পড়ুন: জমি দুর্নীতিতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্টকে তলব ইডির
হাইকোর্টের দুই বিচারপতির অভিমত, যদি ধরেও নেওয়া হয় সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে টেট কার্যকর নয়। সেক্ষেত্রে এমন সিদ্ধান্ত টিএমএ পাই ফাউন্ডেশন মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের দেওয়া রায়ের পরিপন্থী পদক্ষেপ বলে বিবেচিত হবে। কারণ ওই রায়ে স্পষ্ট বলা আছে, রাজ্য বা এমন প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা, বেতন, অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য শর্ত আরোপ করতে পারে।
তাঁরা আরও জানান, যেহেতু টিএমএ পাই ফাউন্ডেশন মামলার রায় অবিকৃত রয়েছে, তাই শিক্ষকদের জন্য টেট যোগ্যতা সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান সহ সব স্কুলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। দ্বিতীয়ত, সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানে টেট যোগ্যতা বাধ্যতামূলক না হলে এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংখ্যালঘু নয় এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি হবে, যা সংবিধানের আর্টিকেল ১৪-র বিরোধী। এমন অভিমত সহ সংশ্লিষ্ট মূল আবেদনকারী তথা শিক্ষকের নিয়োগ বৈধ নয় বলে রায় দুই বিচারপতির।
দেখুন অন্য খবর: