নয়াদিল্লি: আফগানিস্তানের মাটিতে তালিবানের উত্থান ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে রীতিমতো উদ্বেগের। আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালিবানের হাতে যাওয়ার পর কাশ্মীরে ফের আগুন জ্বলতে পারে বলেই মনে করছে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা ।
সম্প্রতি তালিবানের কাছে পর্যদুস্ত হয়ে আত্মসমর্পণ করেছে আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী। বিনা যুদ্ধে রাজধানী কাবুলকে তালিবানদের হাতে তুলে দিয়েছে আশরফ ঘানির সেনা।
আত্মসমর্পণ করা আফগান সেনার থেকে উদ্ধার হওয়া সেই সমস্ত অত্যাধুনিক অস্ত্র সামগ্রী নিজেদের দখলে নিয়েছে তালিবান। যার মধ্যে রয়েছে কয়েক লক্ষ অ্যাসল্ট রাইফেল, কয়েক হাজার সাঁজোয়া যান, ডজন খানেক যুদ্ধ বিমান, ট্যাঙ্ক, আর্টিলারি স্নাইপার, রাইফেল নাইট ভিশন গগলস সহ আরও একাধিক অত্যাধুনিক অস্ত্র সামগ্রী। আর এই সমস্ত অত্যাধুনিক অস্ত্রাদি পাকিস্তানে রফতানি করছে তালিবান।
আরও পড়ুন: তালিবানি আতঙ্ক থেকে রক্ষা পেয়ে ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন আফগান মহিলার
রফতানিকারী অস্ত্র
তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য নিয়ে। আফগানিস্তানে আশরফ ঘানির বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই তালিবানকে মদত জুগিয়ে এসেছে পাকিস্তান। তাই ক্ষমতায় এসে সেই সাহায্যেরই কি প্রতিদান দিচ্ছে তালিবান? উঠছে প্রশ্ন।
আফগান সেনার অস্ত্র হাতে তালিবান
উল্লেখ্য নব্বইয়ের দশকে, আফগানিস্তানে যখন তালিবান রাজ কায়েম হয়, সেই সময়েও অশান্ত ছিল কাশ্মীর। উপত্যকায় একের পর এক নাশকতার ঘটনায় নাজেহাল হতে হয়েছিল নয়াদিল্লিকে। তাই এবারও তালিবানের উত্থানে কাশ্মীর ইস্যুতে প্রথম থেকে চিন্তায় ছিল ভারত। কিন্তু এবার তালিবানের থেকে আমদানি করা সেই সমস্ত অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়েই লস্কর কিংবা হিজবুল মুজাহিদীনদের মত জঙ্গিগোষ্ঠী গুলিকে মদন জোগাতে পারে ইসলামাবাদ। তাহলে ফের কাশ্মীর অশান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: কাবুল বিমানবন্দরে চলল গুলি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৭
যদিও ভারত বা অন্য কোনও দেশের বিরুদ্ধে কাউকেই আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে দেবেনা তালিবান। কিছুদিন আগে এমন আশ্বাস শোনা গিয়েছিল তালিবানের মুখপাত্র মুহাম্মদ সোহেল শাহিনের গলায়। যদিও সেই আশ্বাস কতটা বিশ্বাস যোগ্য তা নিয়ে প্রথম থেকেই সন্দিহান ছিল ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। এবার তালিবান ও ইসলামাবাদের ”অস্ত্র আঁতাতের” বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় কিছুটা হলেও কপালে ভাঁজ পড়বে সাউথ ব্লকের।