নয়াদিল্লি ও কাবুল: আফগানিস্তানে তালিবানের পুনরুত্থানের পর কাবুল দূতাবাস খালি করে দিয়েছে ভারত৷ কিন্তু ভারতের এই পদক্ষেপে খুব একটা খুশি হয়নি তালিবান৷ ভারত কাবুল দূতাবাস খালি করে দিক সেটা চায়নি তালিবরা৷ তারা চেয়েছিল, চীন ও রাশিয়ার মত ভারতও দূতাবাস খোলা রাখুক৷ দূতাবাস কর্মীদের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত তালিবানই করে দিত৷ যদিও তালিবানকে বিশ্বাস করতে পারেনি ভারত৷ দ্রুত খালি করে দেয় কাবুল দূতাবাস৷
তালিবানের কাতারের অফিস থেকে এমনই বার্তা পৌঁছয় দিল্লির বিদেশমন্ত্রকের কাছে৷ তালিবানের অন্যতম শীর্ষ নেতা আব্বাস স্তানিকজাইয়ের অফিস রয়েছে কাতারে৷ সেই বার্তা থেকে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে৷ সূত্র মারফত সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানতে পেরেছে, ওই বার্তায় বলা হয়েছিল ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাস কর্মীদের কোনও ক্ষতি করবে তালিবান৷ এমনকি লস্কর ও জইশ জঙ্গি সংগঠনও ভারতীয় দূতাবাসে কোনও হামলা করবে না বলে অভয় দিয়েছিল তারা৷ যদিও তালিবানের আশ্বাস খুব একটা ভরসাযোগ্য মনে হয়নি ভারতের৷ দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছ থেকে ইনপুট পেয়ে দূতাবাস থেকে কর্মীদের সরিয়ে দেন দিল্লি৷
আরও পড়ুন: কাবুল বিমানবন্দর ঘিরে পাঁচ হাজারের বেশি মার্কিন সেনা, সরানো হয়েছে ১২ হাজার মানুষকে
গত রবিবার কাবুলের পতনের পর সেদেশ থেকে দূতাবাসের কর্মী ও ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার তোড়জোড় শুরু করে দেয় ভারত৷ ১৫ অগস্ট ভারতীয় বায়ুসেনার দুটি বিমান যায় কাবুল৷ সোমবার ৪৫ জনকে দিল্লি ফিরিয়ে আনা হয়৷ যাদের মধ্যে ছিলেন কয়েকজন দূতাবাস কর্মী৷ যদিও সোমবার কাবুল বিমানবন্দর যাওয়ার পথে বাধার মুখে পড়তে হয় ওই ৪৫ জনকে৷ অভিযোগ, ভারতীয়দের কাছ থেকে জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় তালিবরা৷ পরেরদিন মঙ্গলবার ১২০ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়৷ যাঁদের মধ্যে ছিলেন রাষ্ট্রদূত রুদ্রেন্দ্র ট্যান্ডন৷
আরও পড়ুন: নিরুদ্দেশ তালিবান সুপ্রিমো হায়াতবুল্লা কি পাকিস্তানে বন্দি?
এর পরেও কাবুল এবং অন্যান্য শহরে আটকে পড়েছেন ভারতীয়রা৷ যাদের মধ্যে রয়েছেন শিখ ও হিন্দু৷ ২০০ জনের ওই দল স্থানীয় একটি গুরুদ্বারায় আশ্রয় নিয়েছে৷ সেখানে গিয়ে দেখা করে আসে তালিবানের এক প্রতিনিধি দল৷ স্বস্তির খবর, তালিবান তাদের নিরাপত্তা দেবে বলে আশ্বস্ত করেছে৷ অপরদিকে বিদেশমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকেই যাচ্ছে৷ সেই কারণে এই মুহূর্তে উদ্ধারকার্য সম্ভব নয়৷