ওয়েব ডেস্ক: অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Asoka University) অ্যাসোসিয়েট অধ্যাপক রাজনৈতিক ও বিজ্ঞান বিভাগের আলি খান ম্যাহুমাদাবাদ গ্রেফতার হন। সেই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ আলী খান। সোমবার মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই জানিয়ে দেন দু-একদিনের মধ্যেই এই মামলার শুনানি গ্রহণ করবে সুপ্রিম কোর্ট। অপারেশন সিন্দুর নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করায় ১৮ মে হরিয়ানা পুলিশ আলি খান ম্যাহুমাদাবাদকে গ্রেফতার করে। আলি খান ম্যাহুমাদাবাদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে উল্লেখ।
আরও পড়ুন: অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে বাংলার কোন কোন স্টেশন ?
ভারতবর্ষের জমি পাকিস্থানের হাত থেকে দখলের সফলতা না পেলে এই মহিলাদের দ্বারা সাংবাদিক বৈঠক শুধুমাত্র প্রদর্শনী ছাড়া আর কিছুই নয়। মুসলিমদের উপর অত্যাচার এবং বুলডোজার চালিয়ে সম্পত্তি নষ্ট করার বিষয় প্রশাসনের সচেতন হাওয়া প্রয়োজন। এই ধরনের ঘটনা নিন্দনীয়। হরিয়ানার বিজেপির যুব মোর্চার মহাসচিব যোগেশ জেঠরির অভিযোগের পর বিষয়টি সামনে আসে। পরবর্তীকালে বিজেপির মহিলা মোর্চার অধ্যক্ষ রেনু ভাটিয়াও অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরেই আলি খান ম্যাহুমাদাবাদের বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আলি খান ম্যাহুমাদাবাদ যে পোস্ট করেছেন তাতে ভারতের সশস্ত্র সেনাবাহিনীর কর্নেল সফিয়া কোরেশী ও উইং কমান্ডার ভোমিকা সিংকে অপমান করা হয়েছে। এই পোষ্টের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা বিঘ্নিত হয়েছে। আলি খান ম্যাহুমাদাবাদের গ্রেফতারি কে কংগ্রেস ও এ আই এম এম কের প্রধান ওয়েশী নিন্দা করেছে। আলি খান ম্যাহুমাদাবাদের গ্রেফতারি সম্পূর্ণ অবৈধ ও নিন্দনীয়। আলি খান ম্যাহুমাদাবাদের পোষ্টের প্রেক্ষিতে তাঁর মত শিক্ষাবিদকে গ্রেপ্তার করা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি। বিজেপির এক মন্ত্রী শাহ যখন সোফিয়া কোরেশিকে কে নিয়ে মন্তব্য করেন তখন বিজেপি তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। এটাই নরেন্দ্র মোদির দ্বিচারিতা শুধু রাজনৈতিক দলগুলি নয় সোশ্যাল মিডিয়ার এই গ্রেফতারি কে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তবে আইনজীবী মহল মনে করছে সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করবে।
দেখুন আরও খবর: