নয়াদিল্লি: কয়েকমাস আগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ এবার রাষ্ট্রদ্রোহ আইন তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আর এফ নরিম্যান৷ সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির মতে, ঔপনিবেশিক এই আইন দেশের গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক৷
আরও পড়ুন: আধুনিক ভারতীয় নারী সন্তানের জন্ম দিতে অনিচ্ছুক, চায় সারোগেসি: বিজেপি মন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ থেকে ২০১৯-এর মধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে ৩২৬টি মামলা দায়ের হয়েছে৷ কিন্তু সাজা হয়েছে মাত্র ৬ জনের৷ বিরোধীদের অভিযোগ, মোদি জমানায় রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের চূড়ান্ত অপব্যবহার হয়েছে৷ নরিম্যানের গলাতেও শোনা গেল একই সুর৷ তিনি জানান, বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধে এই দুটি আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহার হয়েছে৷ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বলেন, নোবেলে শান্তি পুরষ্কার পেয়েছেন ফিলিপিন্সের সাংবাদিক৷ সেখানে ভারতের স্থান ১৪২৷ কেন? রাষ্ট্রদ্রোহ এবং বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের ভয় দেখিয়ে সাংবাদিকদের দমিয়ে রাখা হয়৷ তাঁদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হয়৷
আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’ মাদ্রাসা শিক্ষকের
ঔপনিবেশিক আইনের ইতিহাস জানিয়ে বর্তমান সময়ে এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নরিম্যান৷ তিনি চান, সুপ্রিম কোর্ট অবিলম্বে আইনগুলি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিক৷ তবেই দেশের নাগরিকরা একটু স্বস্তিতে শ্বাস নিতে পারবে৷ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বলেন, সরকার আসবে যাবে৷ কিন্তু ক্ষমতাবলে সুপ্রিম কোর্ট ১২৪এ ধারা বাতিল করে দিক৷ সেই চীন, পাকিস্তান যুদ্ধের পর এমন কঠোর আইন আনা হয় দেশে৷ বলতে দ্বিধা নেই, বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন কট্টর আইন৷ এই ধারায় মামলা হলে আগাম জামিন পাওয়া যায় না৷ সর্বনিম্ন পাঁচ বছরের জেল যাত্রা হয়৷ রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের সঙ্গে এই আইনও বাতিল করা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা উচিত বলে জানান নরিম্যান৷