নয়াদিল্লি: মুকুল রায়ের (Mukul Roy) সদস্যপদ খারিজের ব্যাপারে রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষকে (Speaker’s decision on plea) ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সোমবার বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বি ভি নাগরত্নের ডিভিশন বেঞ্চ মৌখিকভাবে একথা জানিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Bandopadhay) সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন করেন। তারই শুনানিতে এদিন দেশের শীর্ষ আদালত ওই কথা জানিয়েছে। রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষের আবেদন ছিল, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে বিষয়টির শুনানি হোক। সু্প্রিম কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে জানায়, আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে অধ্যক্ষকে তাঁর সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।
এদিন অধ্যক্ষের তরফে প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে মামলাটি শোনার জন্য আবেদন করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী শেখর নাফাদে ওই আবেদনের বিরোধিতা করেন। বিচারপতি রাও জানান, আমরা দু’সপ্তাহ সময় দিচ্ছি। তার মধ্যে বিয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে।
আরও পড়ুন: Punjab Polls: পঞ্জাবের ভোট পিছনো নিয়ে বৈঠক নির্বাচন কমিশনের
এর আগে গত ২২ নভেম্বর আদালত বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির কথা জানিয়েছিল। যদিও তখন শীর্ষ আদালত কোনও সময়সীমা বেঁধে দেয়নি। গত ১৭ জুন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানান অধ্যক্ষের কাছে। গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদটি বিরোধী দলনেতারই প্রাপ্য। এটাই সাংবিধানিক রীতি। বেঞ্চ আরও বলে তৃণমূল বিধায়ক মুকুল রায়ের সদস্যপদ খারিজের বিষয়টি পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সঙ্গে জড়িত। কারণ, মুকুল রায়কেই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে।