ওয়েবডেস্ক: নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারের আমলে দেশে ইতিহাস পাল্টে দেওয়ার অনেক ঘটনা ঘটেছে। মসজিদ এলাকায় আগে কোনও মন্দির ছিল কি না তার খোঁজ শুরু হয়। এই নিয়ে অশান্তি হয়েছে। বিক্ষোভ হয়েছে। তারপেরও তা বন্ধ হয়নি। কবে রামায়ণে কি হয়েছিল তার ছানবিন শুরু হয়। শেষ আদালতের হস্তক্ষেপে তা আটকানো গিয়েছে। মহারাষ্ট্রে আওরঙ্গজেবের সমাধি নিয়েও সম্প্রতি বিতর্ক দেখা দিয়েছে। গেরুয়া শিবির পথে নামে। মুঘল ইতিহবাসও বদলানোর দাবি তোলা হয়। এবার মুসলিমদের সম্পত্তি সংক্রান্ত ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়েও সেই সংক্রান্ত বিষয় সামনে এল। ওয়াকফ বোর্ডে (Waqf Board) অমুসলিম প্রতিনিধি রাখার সংস্থান রয়েছে নতুন আইনে। যা নিয়ে অন্যতম বিতর্ক। ওয়াকফ নিয়ে মোদি সরকারের নতুন আইনের বিরোধিতায় একগুচ্ছ মামলা হয়। তাতে খোদ সর্বোচ্চ আদালত এই প্রশ্ন তুলল। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারকে ভর্ৎসনা করে আদালতের মন্তব্য, অতীতকে নতুন করে লেখা যায় না।
মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (Sanjiv Khanna) মন্তব্য করেন, যখন কোনও জনগণের সম্পত্তি ১০০ অথবা ২০০ বছর আগে বলে ঘোষণা করা হয়…আকস্মিক আপনি বলছেন এটা ওয়াকফ বোর্ড দখল করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা তাতে বলেন, তার মানে ওয়াকফ হলে সেটি ট্রাস্টে বদলানো যাবে। এর জন্য সংস্থান রয়েছে। তাতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘’আপনি নতুন করে অতীত লিখতে পারেন না।‘’ এই ঘটনায় নরেন্দ্র মোদি সরকারের মুখ পুড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কার স্বামীও কি এবার রাজনীতিতে? কী বললেন সোনিয়ার জামাই?
দেখুন অন্য খবর: