ওয়েব ডেস্ক: নারী নির্যাতন (Woman Harassment) সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতিদের (Justice) অনভিপ্রেত মন্তব্য নিয়ে ফের কড়া অবস্থান নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সম্প্রতি এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahdabad High Court) একটি ধর্ষণ মামলায় (Rape Case) অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করতে গিয়ে বলেছিল, “ধর্ষিতা নিজেই সমস্যা ডেকে এনেছেন।” হাইকোর্টের বিচারপতির এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সোমবার কড়া আপত্তি জানায় দেশের শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে দিল্লির একটি বারে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে ঘটে বলপূর্বক ধর্ষণের ঘটনা। সেই মামলায় অভিযুক্তকে জামিন দেওয়ার সময় এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি গত ১১ মার্চ এরকম একটি মন্তব্য করেন। ওই বক্তব্য সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ‘‘প্রত্যেক বিচারপতিরই ঘটনা পরম্পরার ভিত্তিতে জামিন মঞ্জুর করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু তা করতে গিয়ে কোনওভাবেই অনভিপ্রেত বা আঘাতজনক মন্তব্য করা উচিত নয়।’’
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানসহ সর্বক্ষেত্রে টেট যোগ্যতা বাধ্যতামূলক: হাইকোর্ট
শুধু আইনগত বিচার নয়, সেই বিচারের ভাষাও যেন বিশ্বাসযোগ্যতা এবং সংবেদনশীলতার প্রতিফলন ঘটায়—এমনই অভিমত পেশ করেন সর্বোচ্চ বিচারপতিরা। শুনানির সময় কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাও প্রশ্ন তোলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের চোখে এসব মন্তব্য কী বার্তা দিচ্ছে?’’
প্রসঙ্গত, এদিন শীর্ষ আদালতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের আরেকটি বিতর্কিত রায় সংক্রান্ত স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি ওঠে। সেই রায়ে হাইকোর্ট বলেছিল—নাবালিকার বুকে হাত দেওয়া, তার পাজামার দড়ি টেনে ধরা বা কালভার্টের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া ঘটনাগুলো ধর্ষণের চেষ্টার আওতায় পড়ে না। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে তুলে ধরে ‘উই দ্য ওমেন অফ ইন্ডিয়া’ নামে একটি সংগঠন। এই মামলায় শীর্ষ আদালত ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে এবং কেন্দ্রীয় ও উত্তরপ্রদেশ সরকারের বক্তব্য তলব করেছে। যদিও মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি চার সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে গিয়েছে।
দেখুন আরও খবর: