দিল্লি : করোনা অতিমারির কোপে রাজ্যে অনাথ হয়েছে মাত্র ২৭ জন শিশু। কোভিডে অনাথ শিশু নিয়ে যে পরিসংখ্যান দিয়েছে রাজ্য সরকার তা গ্রহণ করল না শীর্ষ আদালত। পশ্চিমবঙ্গ যে তথ্য দিয়েছে তাতে গড়মিল রয়েছে, এই পরিসংখ্যান গ্রহণযোগ্য নয়। বিচারপতি নাগেশ্বর রাও-র ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, রাজ্যের জেলাশাসকরা সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে যেন শীঘ্রই বাল কোভিড পোর্টালে আপডেট করেন। অতিমারির কোপে অনাথ হয়েছে বহু শিশু। অভিভাবক হারিয়ে পথে পথে দিন কাটছে সাধারণ মানুষের। এই শিশুদের জন্য, ১৮ বছর পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে মোদি সরকার। উচ্চশিক্ষার জন্য লোনের ব্যবস্থা করবে কেন্দ্র, সুদ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: করোনায় কেন কানোয়ার যাত্রা? যোগীকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
শুধু তাই নয় ১৮ বছর পর্যন্ত মাসিক ভাতা দেওয়া হবে তাদের। ২৩ বছর পর এককালীন ১০ লক্ষ টাকা ভাতাও মিলবে। শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের দায়িত্ব নিয়েছে কেন্দ্র। প্রতিবছর ৫ লক্ষ টাকা স্বাস্থ্যবিমার ব্যবস্থা থাকছে। এর প্রিমিয়ার দেবে সরকার। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের সুবিধা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। বিচারপতি নাগেশ্বর রাও-র ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, অনাথ শিশুদের কথা মনে রেখে রাজ্য-কেন্দ্রের মধ্যে যেন এই প্রকল্প নিয়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তৈরি না করে। যদি দাবি করেন যে মাত্র ২৭ জন শিশু অনাথ হয়েছে, তবে সেই দাবি আমরা নথিভুক্ত করব। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ একটা বড় রাজ্য। আমরা এই পরিসংখ্যান বিশ্বাস করতে প্রস্তুত নয় আদালত। এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের দাবি, অনাথ শিশুদের তথ্যের তালিকা তৈরির ‘কাজ এখনও চলছে’। পাল্টা বিচারপতি তোপ দেগে বলেন, রাজ্য অনাথ শিশুদের কথা না ভেবে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করছে।বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই রাজ্যকে নতুন হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।