নয়াদিল্লি: ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Waqf Act) নিয়ে বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে দেশে। নয়া ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court)। এই আইনের বিরোধীতায় একাধিক রিপোর্ট জমা পড়েছে শীর্ষ আদালতে। ইসলামিক সংগঠন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফেও একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছে।সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় স্থগিতাদেশ দিতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রের অনুরোধে তা পিছিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই নয়া আইনের তিনটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার ওয়াকফ ইস্যুতে ফের শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।
বুধবার ওয়াকফ আইন বিরোধী শুনানিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের তিন দফা অন্তর্বর্তী নির্দেশ-ঘোষিত ওয়াকফ সম্পত্তি বহাল থাকবে। এতদিন যে সম্পত্তিগুলি ওয়াকফ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলির চরিত্র একই থাকবে কি? শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে কি করে বহু সম্পত্তি ওয়াকফ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, প্রশ্ন আদালতের। সরকার নিয়োজিত অফিসার তদন্ত সাপেক্ষে কোন সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত সেটিকে ওয়াকফ না বলার বিধান কি যুক্তিসঙ্গত? আদালত কোন সম্পত্তিকে ওয়াকফ স্বীকৃতি দিলে তা এই আইন অনুযায়ী বাতিল করা যায় কি? বুধবার বিকেল প্রায় চারটে পর্যন্ত শুনানি চলার পর তা স্থগিত হয়। নয়া সংশোধনী সূত্রে কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল এবং রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের অধিকাংশ সদস্য কি মুসলিম হওয়া উচিত? বৃহস্পতিবার বেলা দুটো থেকে এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ সম্পর্কে আরও শুনানি চলবে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে।
আরও পড়ুন: ঘোষিত ওয়াকফ সম্পত্তি বহাল থাকবে, বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের
মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, সরকার কোনও কিছুর নিয়ন্ত্রণে নিলে সেটাকে অসাংবিধানিক বলা যাবে না। প্রধান বিচারপতির মতে, ওয়াকফ সংক্রান্ত মামলার শুনানি যে কোনও হাইকোর্টে হতে পারে। ওয়াল চলাকালীনই বিচারপতিদের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, হিন্দু ধর্মের সম্পত্তি দেখভাল করার বোর্ডে তো অন্য ধর্মাবলম্বীরা থাকেন না। বুধবার ওয়াকফ আইন তিনটি বিষয়ে উপর স্থগিতাদেশ দিতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার কি হবে? সেই দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ।
অন্য খবর দেখুন