নয়াদিল্লি: গণধর্ষণের ক্ষেত্রে একজনের ভেদকারী (Penetration) আচরণ অন্য অভিযুক্তদের ক্ষেত্রেও কার্যকর। যদি সেখানে সমমনস্কতা থাকে তাহলে সকলেই সক্রিয়ভাবে ধর্ষণে অংশগ্রহণ করেছে বলে প্রমাণ না থাকলেও চলবে। এক ধর্ষণের মামলায় এই অভিমত জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
বিচারপতি কারল ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের অভিমত, ভারতীয় ফৌজদারি আইনের ৩৭৬ (২) (জি) ধারার এক নম্বর ব্যাখ্যা অনুযায়ী, সক্রিয় পেনিট্রেশন একজনের দ্বারা হলেও সেখানে সমমানসিকতা নিয়ে হাজির অন্যরাও গণধর্ষণে অংশগ্রহণকারী হিসেবে বিবেচিত হবে। সেক্ষেত্রে কেবল এমন প্রমাণ থাকতে হবে যে, সেখানে হাজির থাকা সকলেরই মানসিকতা একই ছিল।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায়ে স্বস্তি মিলল না সাকেত গোখলের
অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তদের বক্তব্য ছিল, একজনই ঘটনায় সক্রিয়ভাবে ধর্ষণে অংশ নেয়। বাকিরা এমন কাজ করেনি। কিন্তু নিম্ন আদালতের পর হাইকোর্টেও সকলের সাজা বহাল থাকে।
সুপ্রিম কোর্ট জানাল, যেভাবে ঘটনাক্রম সংঘটিত হয়, অর্থাৎ অপহরণ, মেয়েটিকে আটকে রাখা এবং তার প্রতি হওয়া যৌন অত্যাচারের যে বয়ান নথিভুক্ত হয়েছে, তা স্পষ্টতই ৩৭৬ (২) (জি) ধারার অনুসারী। তাই মুখ্য ধর্ষণকারীর সঙ্গে তার সঙ্গীরাও একইভাবে মেয়েটির যৌন হেনস্থার জন্য দায়ী।
দেখুন অন্য খবর: