নয়াদিল্লি: অদ্ভুত একটা ঘটনার জেরে যৌনশিক্ষা নীতি বিবেচনার (Sex Education Policy) জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে (Central Government) আহ্বান জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রোটেকশন অফ চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস বা পকসো (POCSO) আইনের কঠোর বিধিব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রোম্যান্টিক সম্পর্ক যেন বেড়াজালে আটকে না পড়ে সেই বৈষম্যমূলক দিকটি বিবেচনার আহ্বান করা হয়েছে। সেই সূত্রে যৌন ও প্রজনন শিক্ষা প্রচলন করা যায় কি না, সেই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের মতামত জানতে চাওয়া হল।
মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের (Women and Child Welfare Ministry) মাধ্যমে কেন্দ্রকে নোটিস জারি করে এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ। রিপোর্ট পেলে আদালত পরবর্তী নির্দেশ দেবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি অভয় এস ওকা ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া।
তাঁর যখন ১৪ বছর বয়স, তখন প্রেমে পড়েন, বিবাহ হয়। কিন্তু তার জেরে স্বামীর কুড়ি বছর কারাবাসের সাজা হয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালত পেরিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করছেন সেই স্বামী তথা আসামির স্ত্রী।
আরও পড়ুন: গুজরাটের ভদোদরায় রোড শো, ফুলবৃষ্টিতে স্বাগত প্রধানমন্ত্রীকে
এমন স্পর্শকাতর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবী মাধবী দেওয়ান ও লিজ ম্যাথিউকে আদালতকে সাহায্য করার জন্য নিয়োগ করে। তাঁদের প্রস্তাব ও বক্তব্য, বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে তৈরি সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন। পকসো আইন নিঃসন্দেহে নাবালকদের যৌন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। কিন্তু বয়ঃসন্ধিকালীন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ওই আইনের কঠোর বিধিব্যবস্থা পুলিশকে সমস্যায় ফেলার পাশাপাশি সেই নাবালক বা নাবালিকার ক্ষেত্রে অভিশাপ হিসেবে দেখা দেয়। এই সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতেই কেন্দ্রকে নোটিস জারি।
ওই আইনজীবীরা আদালতে এও জানান, দিল্লি ও মাদ্রাজ হাইকোর্ট সহ আরও কিছু হাইকোর্ট পকসো আইনের ক্ষেত্রে অভিযুক্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিতদের বয়ান বিবেচনায় বিশেষ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বিশেষত যেখানে সম্মতিসূচক রোম্যান্টিক সম্পর্ককে আইনবিরুদ্ধ বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। মাদ্রাজ হাইকোর্ট বেশ কিছু ক্ষেত্রে জানিয়েছে, সম্মতিসূচক সম্পর্কের ক্ষেত্রে যৌন সম্পর্ককে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে ধরা যাবে না। কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে, পেনিট্রেশন বা ভেদন এমন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কখনওই একতরফা নয়। যদিও পকসো আইন এমন কাজকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে।
উল্লেখ্য, সরকার গঠিত কমিটির সঙ্গে আদালত গঠিত আর একটি কমিটি স্থায়ী সাহায্যকারী হিসেবে থাকবে। সেই কমিটিতে নির্বাচিত হয়েছেন টিআইএসএস থেকে ডক্টর পেখম বসু, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট জয়িতা সাহা এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলা সমাজ কল্যাণ অফিসার সঞ্জীব রক্ষিত।
দেখুন অন্য খবর: