ওয়েব ডেস্ক: আয় ২৬ লক্ষ, ব্যয় ২.৬ কোটি। অসামঞ্জস্যপূর্ণ এই তথ্যের জেরে চাকরি গিয়েছে পাঞ্জাবের ডিএসপি (Punjab DSP) গুরশের সিং সান্ধুর (Gursher Singh Sandhu)। লরেন্স বিষ্ণোই (Lawrence Bishnoi) জেল ইন্টারভিউ বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে সামনে আসা এই তথ্যে বিস্মিত হল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই বন্দি অবস্থায় সাক্ষাৎকার দেন। সেই বিতর্কে ফেঁসেছেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন ডিএসপি গুরশের। সেই সূত্রে সুপ্রিম কোর্টে ওই প্রাক্তন পুলিশকর্তার পেশ করা উইথড্র পিটিশন খারিজ হল। উল্টে প্রশ্ন উঠেছে, সংশ্লিষ্ট তিন বছরে তিনি কীভাবে রোজগারের তুলনায় দশগুণ খরচ করলেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান সন্ত্রাসে যুক্ত, তবুও বিশ্ব মঞ্চে পুরস্কৃত! ব্যর্থ মোদি সরকারের বিদেশনীতি?
তোলাবাজি, খুন, খুনের হুমকি, অস্ত্রের চোরাচালান এবং সংগঠিত হাঙ্গামা ইত্যাদির অজস্র অভিযোগ রয়েছে লরেন্সের বিরুদ্ধে। বহুবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তেমনই বন্দি অবস্থায় ২০২৩ সালের মার্চে একটি বেসরকারি নিউজ চ্যানেল লরেন্সের দুটি সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করে। একটি সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় খাড়ারে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির অফিসে এবং অন্যটি রাজস্থানের সংশোধনাগারে। ওঠে প্রশ্নের ঝড়। কীভাবে সে সংশোধনাগারের মধ্যে মোবাইল ফোন, ওয়াইফাই এবং এমনকী স্টুডিওর মতো ঝকঝকে ব্যবস্থা পাচ্ছে!
বিষয়টির তদন্তে গঠিত সিট ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবরের রিপোর্টে জানায়, বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে অ্যান্টি গ্যাংস্টার টাস্ক ফোর্সের বিশেষ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তার ফলে আইন ও নিয়মের ব্যতিক্রমী সুবিধা সে পেয়েছে। সেই সূত্রে সাত অফিসার সাসপেন্ড অথবা ডিসমিস হন। গুরশের এবং তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে পাঞ্জাব ভিজিলেন্স ব্যুরো। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি তৈরি করা ছাড়াও জমি জালিয়াতি এবং তোলাবাজির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যা আটকাতে প্রথমে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও তার লাভ হল না। বরং কে ওই সাক্ষাৎকারের অনুমতি দিয়েছিল, হাইকোর্ট এবার তা জানতে চেয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: