নয়াদিল্লি: বকেয়া বিল সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির প্রশ্নসূত্রে চলা শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের জিজ্ঞাসা, রাজ্যপাল (Governor) যেখানে কয়েক বছর ধরে বিধানসভায় (Assembly) পাশ হওয়া বিল আটকে রেখেছেন, সেখানে আদালতের সামনে সাংবিধানিক সমাধান সূত্র কী হতে পারে? এমন বিল অনুমোদিত বলে ধরে নেওয়া যাবে বলে আদালতের সিদ্ধান্ত যদি ভুল হয়, তাহলে বিকল্প কী? ভারত সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেলকে (Attorney General) প্রশ্ন আদালতের।
অনভিপ্রেত এমন পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়েও আদালত রাজ্যপালের কার্যপ্রণালীতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কোনও বিলকে অনুমোদিত বলে ধরে নেওয়ার রায়ও দিতে পারে না। জবাব অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানির।
প্রধান বিচারপতি বিআর গভইয়ের (Chief Justice BR Gavai) নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে।
আরও পড়ুন: রাহুল-তেজস্বীর গাড়ির ধাক্কা, কনস্টেবলের পা আটকে গেল চাকার তলায়
রাজ্যপালের (তামিলনাড়ুর) আচরণ সম্পর্কে যে চিত্র সামনে এসেছে, সেখানে তাঁর বিশ্বস্ততার অভাব লক্ষণীয়। এই প্রসঙ্গে আদালতের বিভিন্ন রায় ও নির্দেশ অনুসরণ করতে তাঁর ব্যর্থতাও সামনে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে সেই বিলগুলি রাজ্যপালেরই অনুমোদনের স্বার্থে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া কঠিন এবং সে কথাই ওই রায়ে উল্লেখিত হয়েছে। মনে রাখতে হবে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪২ অনুসরণে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সম্পর্কিত বিলগুলিকে অনুমোদিত বলে ধরে নেওয়ার রায় দেয়।
বিলগুলির অনুমোদন দানে বিশেষ কিছু কারণের কথা উল্লেখ করা হলেও আদালত তা বাতিল করে। বস্তুত অনুমোদন না দেওয়ার পিছনে বহু কারণ ছিল। আমরা এখন সে বিষয়ে যাব না। আমরা কেবল আইনি প্রসঙ্গ নিয়েই আলোচনা করব। মূল প্রশ্ন, অনুচ্ছেদ ১৪২ অনুসরণে কোনও বিলকে আদালত অনুমোদিত বলে ধরে নেওয়ার রায় দিতে পারে কি? প্রশ্ন অ্যাটর্নি জেনারেলের।
দেখুন অন্য খবর: