নয়া দিল্লি ও আগরতলা: ত্রিপুরায় পুরভোটের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা মঙ্গলবার বেলা পৌনে একটার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হল। বিপ্লব দেবের সরকার কী রিপোর্ট দেয় তার উপরই নির্ভর করছে সুপ্রিম কোর্টের রায়। আজ, মঙ্গলবার সেই মামলারই শুনানি চলছে। পৌনে একটার পর আবারও শুনানি শুরু হবে। তৃণমূলের দায়ের করা আদালত অবমাননার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জরুরি ভিত্তিতে মামলাটি গ্রহণ করে।
এদিকে আগরতলা হাইকোর্টও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিল ত্রিপুরার পুরভোটের আগে সেন্সিটিভিটি ম্যাপিং তৈরি করতে হবে। ভোট গ্রহণের ২৪ ঘণ্টা আগে বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে কমিশনকে।
ত্রিপুরার পুরভোটকে কেন্দ্র করে বিপ্লব দেবের রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে হিংসা বাড়িয়েছে বিপ্লব দেব। তৃণমূলের একাধিক নেতা বিগত কয়েকদিনের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন। তৃণমূলের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে মিথ্যে মামলায় গ্রেফতারও করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন – বিজেপি শাসিত রাজ্যে মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই, জামিন পেয়ে তোপ সায়নীর
শুধু তৃণমূল নয়, ত্রিপুরায় আক্রান্ত সিপিএম-ও। বিরোধীদের প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ব্যানার ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়ার ছবিও সামনে এনেছে তৃণমূল। ত্রিপুরার হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার সন্ধ্যায় অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে ত্রিপুরা নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুধু বিরোধীদের নয়। সুদীপ রায়বর্মনের মতো বিজেপি নেতাও সরব হয়েছেন রাজ্যের হিংসা নিয়ে। বিপ্লব বিরোধী বলে পরিচিত সুদীপের অভিযোগ, শিশুসুলভ নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিপ্লব দেব। ত্রিপুরায় হিংসার দায় সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কর্মীদের উপর চাপিয়েছেন। নির্বাচনের আগে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।