ওয়েবডেস্ক: সুপ্রিম (Supreme Order) নির্দেশে সদ্য চাকরি হারিয়েছেন (Jobless Teacher) রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শিক্ষাকর্মীরা। এত মানুষের কাজ হারানোর পরেই এক অচলাস্থা তৈরি হয়েছে শিক্ষাজগতে। বিরোধীরা যখন রাজ্যকে কোণঠাসা করতে ব্যস্ত তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নেতাজি ইন্ডোর (Netaji Indoor) থেকে চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে সরব হয়েছেন। আইনি পথে রাজ্যে সরকারের পক্ষে তাঁদের জন্য যতটা সম্ভব করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষাজগতে এই উত্তপ্ত চাপানউতোর পরিস্থিতির মধ্যেই সুপারনিউমেরারি মামলায় (Supernumerary cases) সুপ্রিম রায়ে স্বস্তি পেল রাজ্য সরকার (State Government)।
অযোগ্য প্রার্থীদের সুযোগ করে দিতেই সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করেছিল রাজ্য সরকার? এই প্রশ্ন তুলেই মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে (High Court) ওঠে। পরে সেই মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে (Supeme Court)।
২০২২ সালের মে মাসে প্রায় ৬ হাজার সুপারনিউমেরারি পোস্ট বা অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি (Creating additional vacancies) করেছিল রাজ্যের মন্ত্রিসভা (cabinet) । সেই অতিরিক্ত পদ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, মামলা যায় আদালতে। সেই মামলার রায়দান করল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম নির্দেশে খারিজ হয়ে গেল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়। ফলে বড়সড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার (Chief Justice Sanjiv Khanna) বেঞ্চে মামলার শুনানি ছিল।
আরও পড়ুন: ফের দাম বাড়ছে পেট্রল-ডিজেলের? কেন্দ্রের ঘোষণায় জল্পনা
প্রধান বিচারপতি মামলার পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছেন, সুপারনিউমেরারি পোস্ট তৈরি করা অসাংবিধানিক নয়।
মন্ত্রিসভার সদস্যদের হেফাজতে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
সওয়াল জবাব চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপার সুপারনিউমেরারি পোস্ট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্যের মন্ত্রিসভা। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা অসাংবিধানিক নয়। হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে তদন্ত করা হলে সেটি যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো বা ফেডেরাল স্ট্রাকচার বিঘ্নিত হতে পারে।
আদালতে সওয়াল জবাবে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, নিযুক্ত শিক্ষকদের নিরাপত্তা দিতেই এই অতিরিক্ত শূন্যপদগুলি তৈরি করা হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশন একটি হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে যে, অবৈধদের জন্যই এই শূন্য পদ। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে। সুপারনিউমেরারি পোস্ট নিয়ে কিছু বলেননি প্রধান বিচারপতি।
ওই মামলায় রাজ্যের মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। পরে সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। আজ এই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার এজলাসে। সুপ্রিম রায়ে স্বস্তির মুখ দেখল রাজ্য সরকার।
দেখুন অন্য খবর-