পড়ুয়াদের স্কুলছুট আটকাতে চালু হয়েছিল মিড ডে মিল। আর তারপর থেকে মাঝে মধ্যেই মিড ডে মিলের খাবারে জালিয়াতি, মিড ডে মিলের চাল পাচার, ইত্যাদি নিয়ে খবর শোনা যায়। তবে এবার মিড ডে মিল সংক্রান্ত যে তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে, তা জানার পর মিড ডে মিলের ভাত মুখে দেওয়ার আগে ছাত্রছাত্রীদের ভাবতে হবে। ভাবতে হবে তাদের অভিভাবকদেরও। কারণ নেচার কমিউনিকেশন জার্নাল এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে।
নেচার কমিউনিকেশন জার্নালের তরফে করা একটি সমীক্ষা রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। ওয়াসিংটন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে এই সমীক্ষা করা হয়েছিল। যেখানে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে পর্যন্ত ভারতে অপুষ্টির পরিমাণ বেড়েছে দ্বিগুণ হারে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই যে, ২০০৫ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত দেশের যে সকল জায়গায় এই মিড ডে মিল প্রকল্প চালু হয়েছিল, সেই সব স্থানে অপুষ্টির হার সব থেকে বেশি। নেচার কমিউনিকেশনের সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, দেশের সেই সকল এলাকার স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য এবং শারীরিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সব থেকে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই মিড ডে মিল। বয়স অনুযায়ী অনেক ছাত্রছাত্রীর উচ্চতাও বাড়ছে না বলে সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে। এই অপুষ্টির কারণে পরবর্তীকালে যে সকল ছাত্রীরা মা হবেন, তাঁদের দেহে এই অপুষ্টির প্রভাব পড়বে। যার থেকে তাঁদের সন্তানরাও অপুষ্টির শিকার হতে পারে বলে রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।