ওয়েব ডেস্ক: তিন তিনটে সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও খোলেনি শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়ে (Jammu Kashmir Highway Closed due to Landslide)। যার জেরে বড় বিপাকে পড়েছেন কাশ্মীরের ব্যবসায়ীরা(Kasmir’s Businessman)। ট্রাকের মধ্যেই পচছে কোটি কোটি টাকার আপেল (Apple)। রাজ্যের বাইরের বাজারে আপেল পাঠানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, প্রায় ৭০০ কোটি টাকার আপেল ট্রাকে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই সংকটে মাথায় হাত পড়েছে রাজ্যের কৃষক থেকে ব্যবসায়ীদের।
আসলে তিন সপ্তাহ আগে অতিভারী বৃষ্টিতে শ্রীনগর-জম্মু সড়কের একাধিক জায়গায় ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। ভূমিধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়ে। সেখানেই তিন সপ্তাহ ধরে দাঁড়িয়ে অসংখ্য ট্রাক। হাইওয়ের উপর লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে একাধিক ট্রাক। যার মধ্যে বোঝাই কয়েক হাজার টন আপেল। প্রায় ৭০০ কোটি টাকার আপেল ট্রাকে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই রাজ্যের বাইরে এখন আপেল পাঠানো যাচ্ছে না। প্রতিবাদে নেমেছেন রাজ্যের আপেল চাষি ও ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের উপরেই দায় ঠেলে দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি বলেই এত আপেল পচে গিয়েছে। যদিও হাইওয়ে মেরামতের দায়িত্ব কেন্দ্রের বলে দাবি করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সূত্রে খবর, “মরসুমে প্রতিদিন প্রায় ১,০০০ ফলের ট্রাক কাশ্মীর থেকে রাজ্যের বাইরে যায়।” প্রশাসনের তরফে পণ্য এবং ফল বহণকারী ট্রেন চালু করলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে সাফ জানিয়েছেন তাঁরা। আসলে ট্রাকে করে যে পরিমাণ ফল বাইরে পাঠানো সম্ভব হয় তা ট্রেনে সম্ভব নয়।
হাইওয়ে বন্ধ থাকায় জম্মু ও কাশ্মীরের গ্রামীণ অর্থনীতিতে যে ব্যাপক প্রভাব তা বলা বাহুল্য। কারণ সূত্র বলছে, প্রায় ৮০ শতাংশই আপেল জোগান দেয় কাশ্মীর। ফলে তিন সপ্তাহ সড়ক বন্ধ থাকায় শুধু সরবরাহ ব্যবস্থা নয় কৃষকদের জীবিকাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ কাশ্মীরের লক্ষ লক্ষ মানুষের সংসার চলে এই জীবিকার উপরেই। এই বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি যে তাঁদের রুজিরুটিতে টান ফেলবে তা বলা বাহুল্য।
যদিও হাইওয়ে সারানোর কাজ কেন্দ্রের বলে দাবি জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার। ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কেন্দ্র না পারলে রাজ্যের উপর দায়িত্ব ছাড়ুক বলেও মন্তব্য করেছেন ওমর। ওমরের কথায়, ‘‘সমস্যা সমাধানের জন্য আমি আমাদের ইঞ্জিনিয়ারদের কাজে লাগাতে পারি।’’ পণ্যবাহী ট্রেন চালুর জন্য রেল মন্ত্রককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওমর। তবে তাঁর দাবি, একটি দু’টি ট্রেন চালিয়ে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। তাই এখন অনিশ্চয়তায় হাইওয়ে মেরামতের কাজ।