ওয়েব ডেস্ক: করমণ্ডল উপকূলে মাছ ধরার সময় ফের শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) জলদস্যুদের হিংস্র আক্রমণের মুখে পড়লেন তামিলনাড়ুর নাগাপট্টিনম জেলার জেলেরা। জলের বুকেই ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা—প্রায় ৩০ জনেরও বেশি জেলের উপর আচমকা হামলা চালায় ছয়জন দস্যু। ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হন অন্তত ১৭ জন জেলে।
ঘটনার সময় ট্রলারে করে মাছ ধরছিলেন জেলেরা। দক্ষিণ-পূর্ব কোডিয়াক্কারাই উপকূলের কাছে হঠাৎ করেই একটি স্পিডবোটে চেপে ছয়জন দস্যু তাঁদের উপর চড়াও হয়। ধারালো অস্ত্র নিয়ে দস্যুরা একের পর এক আঘাত হানতে শুরু করে। শুধু হামলাই নয়, সেই সঙ্গে চলে লুটপাট। মাছ ধরার জাল, জিপিএস ডিভাইস-সহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকার সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয় জলদস্যুরা।
আরও পড়ুন: আজ সন্ধেয় ভিজবে শহর?
আহত ১৭ জন জেলেকে দ্রুত তীরে ফিরিয়ে এনে জেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্তদের দাবি, এই হামলা কোনও আন্তর্জাতিক জলে নয়, বরং একেবারে ভারতের জলসীমার মধ্যেই ঘটেছে, যা নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর বড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছে।
সেরুধুরের এক মৎসজীবী গজেন্দ্রন জানান, “শ্রীলঙ্কার জলদস্যুরা আমাদের উপর বর্বর হামলা চালিয়েছে। আমাদের অনেকে এখন হাসপাতালে। আমরা রাজ্য এবং কেন্দ্র—উভয় সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আপাতত ধর্মঘটে গিয়েছি আমরা। সরকার ব্যবস্থা না নিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।”
উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বরেও এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল করমণ্ডল উপকূল। তখনও শ্রীলঙ্কার জলদস্যুরা হামলা চালিয়ে তিন ভারতীয় জেলেকে আহত করে এবং ট্রলারের মূল্যবান জিনিস লুঠ করে পালিয়ে যায়। বারবার এমন ঘটনা ঘটায় মৎসজীবীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক ও ক্ষোভ। এবার প্রশ্ন উঠছে—ভারতের সমুদ্রসীমা কতটা নিরাপদ?
দেখুন আরও খবর: