নয়াদিল্লি : কেন্দ্র বিরোধী লড়াইকে আরও তীব্র করল কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা । যেভাবে ‘গণতন্ত্রের মন্দির’ সংসদ চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল রাহুল গান্ধীর দল । সাত দফা প্রশ্নের প্রতি ছত্রে রয়েছে কেন্দ্রকে তথা বিজেপি সরকারকে আক্রমণ ।
বিল পাসের সময় কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে উপস্থিত থাকেননি সেই প্রশ্ন তুলে বিরোধীদের দাবি, গত ৩৮টি বিল পাস হয়েছে মাত্র ১০ মিনিটের গড় আলোচনায় । এই ঘটনা কোনওদিনই সুস্থ গণতন্ত্রের উদাহরণ হতে পারে না ।
সংসদের নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির কাছে শেষ দশটি বিলের মধ্যে মাত্র একটি পাঠানো হয়েছে । এভাবে কমিটি গুলিকে নিষ্ক্রিয় রেখে কেনও বিল পাস করানো হচ্ছে তোলা হয়েছে সে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদির নামে প্রচার করবো, কেন্দ্রকে কটাক্ষ কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতের
সব থেকে বেশি অভিযোগ উঠেছে বিল পাসের ক্ষেত্রে অর্ডিন্যান্স-এর বিষয়টি । বিগত সরকারের আমলে গড়পড়তা দশটি বিলের মধ্যে দুটি অর্ডিন্যান্স করে পাস করানো হত । এই সংখ্যাটা এখন দ্বিগুণ হয়েছে । দেখা গিয়েছে, দশটি বিলের মধ্যে চারটি অর্ডিন্যান্স করে পাস করাতে হচ্ছে । এরপরই কংগ্রেস সহ বিরোধীদের প্রশ্ন, এই ঘটনায় বুঝিয়ে দেয় বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার কতটা জনবিরোধী ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে বিরোধীদের অন্যতম বড় অভিযোগ, তিনি প্রশ্নের উত্তর দিতে ভয় পান । সেজন্যই সাংবাদিক সম্মেলন করেন না । সে জন্যই রাজ্যসভার মত জায়গায় প্রশ্ন-উত্তর পর্বে উপস্থিত থাকার সাহস দেখাতে পারেননি । শেষ পাঁচ বছরে, একটি বারও রাজ্যসভায় প্রশ্ন উত্তর পর্বে দেখা যায়নি মোদিকে ।
আরও পড়ুন: জনগণের টাকা নিজেদের কোষাগারে নেওয়ার কৌশল করছে মোদি সরকার: মমতা
বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার বার বার দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে তাদের সক্রিয়তার কথা চাউর করেছে । বার বার অমিত শাহদের দাবী করতে শোনা গিয়েছে, দেশের নিরাপত্তা এই সরকারের কাছে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । আর ঠিক এই জায়গাতেই কেন্দ্রের দিকে আঙ্গুল তুলেছে কংগ্রেস । তাদের প্রশ্ন, যদি নিরাপত্তাই সরকারের সব থেকে বেশি প্রাধান্য হয় তাহলে কেন এই বিষয়টি নিয়ে সরকার সবার সঙ্গে আলোচনায় বসছে না?
আর সবশেষে কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের প্রশ্ন দু’বছর কেটে গেল এখনও কেন ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ করা সম্ভব হল না ? প্রসঙ্গত স্পিকার তথা অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে সংসদীয় কাজকে সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরুদায়িত্ব বহন করেন ডেপুটি স্পিকার । এই প্রসঙ্গ তুলেই বিরোধীদের প্রশ্ন গণতান্ত্রিক কাজ সুষ্ঠু ও মসৃণ ভাবে চালাতে হলে ডেপুটি অধ্যক্ষের পদটি দ্রুত পূরণ করা উচিত ছিল । সেই কাজটা হল কোথায় ?