কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বিজেপি সারা দেশকে একটা স্থায়ী মেরুকরণের রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাইছে বলে অভিযোগ করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। শুক্রবার রাজস্থানের উদয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরের উদ্বোধনী ভাষণে সোনিয়া বলেন, বিজেপির স্লোগান হল, ম্যাক্সিমাম গভর্ন্যান্স, মিনিমাম গভর্নমেন্ট। এর অর্থ হল, তাদের রাজত্বে শুধুই শাসন থাকবে। সেখানে সরকারের ভূমিকা সীমিত। সেই শাসনের চেহারা এমনই যে, মানুষ সত্যি কথা বলতে ভয় পায়, প্রতিবাদ করতে ভয় পায়। প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে অত্যাচার, লাঞ্ছনা। সব মিলিয়ে এক ভয়ের রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছে বিজেপি জমানায়।
কংগ্রেস নেত্রীর অভিযোগ, বিজেপি শাসনে সংখ্যালঘুরা এক চরম আতঙ্কে ভুগছেন। তাদের উপর নানাভাবে দমনপীড়ন চালানো হচ্ছে। ভারতের ঐতিহ্য, গরিমা, সংস্কৃতি আজ নষ্ট হতে বসেছে। তিনি বলেন, যে বহুত্ববাদ আমাদের গর্ব ছিল, তা আজ ধর্মীয়, ভাষাগত, আচারগত, পরিধানগত বিভাজনে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই দমবন্ধ অবস্থা থেকে ভারতকে মুক্ত করতে পারে একমাত্র কংগ্রেস। তার জন্য দলকে শক্তিশালী হতে হবে, সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটাতে হবে। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে এই শিবিরের বিশেষ গুরুত্ব রযেছে। একটা কঠিন সময়ের মধ্যে এই শিবির অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
চিন্তন শিবিরে সোনিয়ার অভিযোগ, বিজেপি দেশে বিরোধীদের খুব ভয় পায়। তাই নানাভাবে তাদের ধমকানো হয়, চমকানো হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে ভয় দেখানো হয়। তাঁর আরও অভিযোগ, জওহরলাল নেহরু, মহাত্মা গান্ধীর অবদানকে আজ বিজেপি অস্বীকার করছে। নেহরু, মহাত্মা গান্ধী, বাবাসাহেব আম্বেদকর প্রমুখ যে ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা, সাম্য, মৈত্রী, ধর্মনিরপেক্ষতার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বিজেপির হাতে ভুলুন্ঠিত। তিনি বলেন, বিজেপি দেশকে কর্পোরেট ইন্ডিয়া বানাতে চাইছে। তাঁর আরও অভিযোগ, বিজেপির জন্যই দেশের অর্থনীতির আজ এই হাল।
আরও পড়ুন:
বিজেপির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব কংগ্রেসকে নিতে হবে বলে সোনিয়া মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া, বেকারি বেড়েই চলেছে। তার মধ্যে চলছে বিভাজনের রাজনীতি। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতেই হবে। তিনি নোটবন্দি, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, সরকারি সংস্থার বিলগ্নিকরণ, কৃষক আন্দোলন প্রভৃতিরও উল্লেখ করেন।