চণ্ডীগড়: দুর্নীতির দায়ে সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন পঞ্জাবের আইএএস অফিসার সঞ্জয় পপলি। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই নিজের বাড়িতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল সঞ্জয়ের একমাত্র ছেলে ২৭ বছরের কার্তিকের। চণ্ডীগড়ের ১১ নম্বর সেক্টরে কার্তিকের এই মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিসের দাবি, নিজের ঘরে কপালে গুলি ঠেকিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। মৃতের মায়ের দাবি, পঞ্জাব ভিজিল্যান্স ব্যুরোর অফিসাররা বাড়িতে তল্লাশি চালাতে এসেছিলেন। তাঁদের গুলিতেই মারা গিয়েছে কার্তিক।
গত সোমবার ২০০৮ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার সঞ্জয় পেনশন দফতরের অধিকর্তা ছিলেন। তার আগে তিনি পঞ্জাব ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড সুয়ারেজ বোর্ডের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার ছিলেন। সেই আমলের একটি টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে সঞ্জয়কে পঞ্জাব পুলিসের ভিজিল্যান্স ব্যুরো গ্রেফতার করে। ওই বোর্ডের প্রাক্তন এক কর্তা সন্দীপ ওয়াটসকেও গ্রেফতার করা হয়। সঞ্জয়ের স্ত্রীর অভিযোগ, পঞ্জাব ভিজিল্যান্স দফতরের অফিসাররা তাঁর ছেলেকে চরম হেনস্তা করেছেন। ছেলের সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। তার পরেই তাকে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। তাঁর আরও দাবি, সঞ্জয়কেও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
চণ্ডীগড়ের সিনিয়র সুপারিনটেন্ডেন্ট অফ পুলিস কুলদীপ সিং চাহাল জানান, দোতলার বন্ধ ঘরে কার্তিক পিস্তল দিয়ে নিজের মাথায় গুলি করেন। পুলিস বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তিনি কার্তিকের মায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন। পুলিস সুপার জানান, তবু এই ঘটনার তদন্ত হবে। ভিজিল্যান্স অফিসাররা সঞ্জয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন। এর আগে সঞ্জয়ের বাড়ি থেকে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়।