ওয়েবডেস্ক- বিহারে (Bihar) এসআইআর (SIR) হয়ে গেছে। এবার বিহারে একদম নির্বাচনের চৌকাঠে দাঁড়িয়ে আছে। এবার তামিলনাড়ুর পালা (Tamil Nadu)। আগামী সপ্তাহেই তামিলনাড়ুতে এসআইআর শুরু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে জানানো হয়েছে, তারা প্রাক্তন এআইডিএমকে বিধায়ক বি সত্যনারায়ণের অভিযোগ বিবেচনা করে দেখবে। তিনি টি নগর বিধানসভা কেন্দ্রের ২২৯টি বুথে ভোটের পূর্ণাঙ্গ এবং স্বচ্ছ পুনঃযাচাইয়ের আবেদন জানিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন মাদ্রাজ হাইকোর্টকে (Madras High Court) জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই তামিলনাড়ুতে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন এসআইআর অনুষ্ঠিত হবে। খুব সম্ভবত আগামী সপ্তাহ থেকেই এই এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। এছাড়াও যে নির্বাচনমুখী রাজ্যগুলিতেও একের পর এক এসআইআর হবে। প্রধান বিচারপতি মণীন্দ্র মোহন শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি জি আরুল মুরুগানের একটি বেঞ্চের সামনে নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে আবেদন জানিয়েছে।
প্রাক্তন এআইডিএমকে বিধায়ক বি সত্যনারায়ণের অভিযোগ বিবেচনা করে দেখবে। তিনি টি নগর বিধানসভা কেন্দ্রের ২২৯টি বুথে ভোটের পূর্ণাঙ্গ এবং স্বচ্ছ পুনঃযাচাইয়ের আবেদন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ৬.৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে ভারতের অর্থনীতি! পূর্বাভাস IMF-এর
প্রাক্তন এআইএডিএমকে বিধায়ক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে জানিয়েছেন, চেন্নাইয়ের টি নগর নির্বাচনী এলাকার কর্মকর্তারা ক্ষমতাসীন ডিএমকেকে সুবিধা দেওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে প্রায় ১৩,০০০ এআইএডিএমকে সমর্থকের নাম ভোটার তালিকা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। তার আবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন যে ১৯৯৮ সালে এই নির্বাচনী এলাকায় ২,০৮,৩৪৯ জন রেজিস্টার ভোটার ছিল, ২০২১ সালের মধ্যে এই সংখ্যা মাত্র ৩৬,৬৫৬ জন বেড়েছে। তার দাবি, এলাকায় জনসংখ্যা ও ভোটার তালিকায় তালিকাভুক্ত নামের সংখ্যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। বেঞ্চ আবেদনকারীর আবেদন গ্রহণ করেছে। সেইসঙ্গে আদালত নির্বাচন কমিশনকে বিহার এসআইআরের বিরুদ্ধে মামলায় সুপ্রিম কোর্টের জারি করা আদেশের অনুলিপি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। মামলাটি আগামী সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের আগে বিহারে SIR-এর পরে ৪৭ লক্ষ অযোগ্য ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। ২৪ জুন পর্যন্ত ভোটার তালিকায় ৭.৮৯ কোটি ভোটার ছিল। সংশোধনের পর, ৬৫ লক্ষ অযোগ্য ভোটারকে বাদ দেওয়া হয়, যার ফলে ১ আগস্ট প্রকাশিত খসড়া তালিকায় মোট ভোটার সংখ্যা ৭.২৪ কোটিতে নেমে আসে। পরবর্তীকালে, অতিরিক্ত ৩.৬৬ লক্ষ অযোগ্য ভোটার বাদ দেওয়া হয়, এবং ২১.৫৩ লক্ষ যোগ্য ভোটার যুক্ত হয়। এর ফলে চূড়ান্ত তালিকায় মোট যোগ্য ভোটারের সংখ্যা ৭.৪২ কোটিতে দাঁড়ায়।
দেখুন আরও খবর-