ওয়েবডেস্ক- পহেলগাম (Pahalgam) কাণ্ড নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। একদিকে ভারতের দিক থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে পাকিস্তানকে নিশানা করে হুঙ্কার দিচ্ছে ভারত। আর অপরদিকে একদল মানুষ ‘আস্তিনের সাপ’ হয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নথি পাকিস্তানের হাতে তুলে দিচ্ছে মোটা টাকার বিনিময়। পাক চর সন্দেহে নাম উঠে এসেছিল জ্যোতি মালহোত্রার, আপাতত পুলিশের হেফাজতে আছে সে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, এই রকম ‘জ্যোতি মালহোত্রা’ দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে। যাদের কাছে দেশের স্বার্থ, নিরাপত্তার আগে আছে শুধু অর্থের লোভ।
এবার পাকিস্তানি গুপ্তচরের দেশের সেনার সামরিক ঘাঁটির তথ্য আদানপ্রদানের অভিযোগে গুজরাটের (Gujrat) কচ্ছ থেকে এক স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেফতার করেছে গুজরাত সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এটিএস) (Gujrat ATS)। ধৃত একজন চুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মী। এটিএস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বছর ২৮-এর ধৃতের নাম সহদেবসিংহ দীপুভা গোহিল (২৮) (Sahadevsinh Dipubha Gohil)।
আরও পড়ুন- ষাটের দশকের ভারত ভেবে দাদাগিরি করতে গিয়ে ICU-তে যাওয়ার দশা পাকিস্তানের!
তাঁকে এক পাকিস্তানি চর অদিতি ভরদ্বাজ ফাঁদে ফেলে বলে অভিযোগ। গোহিলকে ওই এলাকায় নির্মীয়মান সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর ঘাঁটি সম্পর্কে তথ্য পাচারের প্রলুব্ধ করা হয়েছিল।
পুলিশ সুপার (এটিএস) সিদ্ধার্থ কোরুকোন্ডা জানিয়েছেন, গোহিল টাকার বিনিময়ে ২০২৩ সালের জুন থেকে পাকিস্তানি গুপ্তচরকে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে কচ্ছ জেলারে বিভিন্ন বিএসএফ নৌসেনার ঘাঁটির ছবি তুলে ও ভিডিও পাঠাত। গোহিল ছিল লখপতের মাতা নো মাধ গ্রামের একজন সরকারি চুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মী।
পাকিস্তানি এজেন্ট অদিতি গোহিলকে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে করে বন্ধুত্ব পাতায়। গোহিলকে সে বলে যে নৌবাহিনীর দফতর এবং তাঁর গ্রামের আশেপাশে চলতে থাকা নির্মাণ কাজের ছবি এবং ভিডিও তাকে দিতে। গোহিল ও মহিলা গুপ্তচরের নির্দেশেই কাজ করতে থাকে।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে গোহিল তার আধার কার্ড ব্যবহার করে একটি সিম কার্ড নেয়, পরে পাকিস্তানি এজেন্টের সঙ্গে ওটিপি শেয়ার করেন। এর ফলে প্রতিবেশী দেশ থেকে সেই নম্বরের সঙ্গে সংযুক্ত হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা সহজ হয়ে যায়, তথ্য আদান প্রদানে সুবিধা হয়।
করুকোন্ডা জানিয়েছেন, গোহিলের ফোন ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়। ফরেনসিক বিশ্লেষণের তথ্য অনুযায়ী গোহিল যে দু’টি নম্বরেই তথ্য পাচারে কাজে লাগাত। তদন্তের পর, এটিএস গোহিলকে গ্রেফতার করে। তথ্যের বিনিময়ে একজন মধ্যস্থতার মাধ্যমে গোহিল ৪০,০০০ টাকা নগদও পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পাকিস্তানি এজেন্টের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ধারা ৬১ (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) এবং ১৪৮ (সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা) এর অধীনে এফআইআর দায়ের হয়েছে।
দেখুন আরও খবর-