বেঙ্গালুরু: বিধানসভায় (Assembly) অধিবেশন চলছিল৷ শাসক-বিরোধী তরজা চরমে৷ নিজের আসনে দাঁড়িয়ে মাইসুরু গণধর্ষণ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেই চলেছিলেন কর্ণাটকের (Karnataka) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)৷ সরকারের সমালোচনায় তিনি এতটাই ডুবেছিলেন যে ধুতির বাধন আলগা হয়ে যাচ্ছে সেটাও পর্যন্ত টের পাননি৷ পরে যখন বুঝলেন তখন ধুতি বাঁধার জন্য নিজেই স্পিকারের কাছে দুটো মিনিট সময় চেয়ে নেন৷ আর সিদ্দারামাইয়ার এমন অবস্থা দেখে হাসির রোল ওঠে বিধানসভায়৷
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে কৃষ্ণাজির ফুচকা, ৩০ বছর ধরে খাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীও
পরে সিদ্দারামাইয়া জানান, কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর তাঁর ৪-৫ কেজি ওজন বেড়ে গিয়েছে৷ আগের চেয়ে পেটটা বেশ বড় হয়েছে৷ তাই মাঝেমধ্যে ধুতির বাধন আলগা হয়ে যায়৷ ঘটনাটি বুধবারের৷ নিজের আসনে দাঁড়িয়ে সরকার বিরোধী বক্তব্য রাখছিলেন বিরোধী দলনেতা৷ ঠিক তখনই কোমর থেকে একটু একটু করে নীচে নামতে থাকে ধুতি৷ সেদিকে কোনও ভ্রুক্ষেপও ছিল না তাঁর৷ ব্যাপারটা কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমারের (DK Shivakumar) নজরে পড়ে৷ সিদ্দারামাইয়ার ‘সম্মান বাঁচাতে’ তিনি তখন ছুটে যান বিরোধী দলনেতার আসনের দিকে৷ তাঁর কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলেন, ‘আপনার ধুতি খুলে যাচ্ছে৷ আগে ওটা সামলান৷’ শুনে অবাক প্রশ্নে সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘ও তাই নাকি?’
আরও পড়ুন: ধর্ষণে অভিযুক্তকে গ্রামের সকল মহিলার জামাকাপড় কাচার নির্দেশ আদালতের
সিদ্দারামাইয়া আর শিবকুমারের কথোপকথন শুনে সভার মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়৷ পরে সকলের সামনে সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘আমার ধুতির বাধন আলগা হয়ে যাচ্ছে৷ আমাকে দুটো মিনিট সময় দিন৷ ধুতিটা ঠিক করে পরে নিই৷ তার পর আবার আমি বলা শুরু করব৷’ বিরোধী নেতার সহজ সরল স্বীকারোক্তিতে হেসে লুটোপুটি খান শাসক-বিরোধী বিধায়করা৷ তখন ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে টিপ্পনি কেটে কেউ কেউ বলেন, ‘কোনও সাহায্যের দরকার হলে বলবেন৷’ জবাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা আমার বিরোধী আসনে বসে আছেন৷ তাই আপনাদের থেকে কোনও সাহায্য চাই না৷’