করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই অলিম্পিক্সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে জাপান উড়ে গিয়েছেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। করোনার জেরে তাঁদের অনেকেই ঠিকভাবে প্রস্তুতিও নিতে পারেননি। তা সত্ত্বেও অলিম্পিক্সে এখনও পর্যন্ত ৫টি মেডেল জিতেছেন ভারত। এর মধ্যে দুটি রুপো এবং তিনটি ব্রোঞ্জ। পদক জয়ের পর ক্রীড়াবিদদের যেমন সেলিব্রেশন করতে দেখা গিয়েছে, তেমনই দেশবাসীও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: থারুরের নিশানায় মোদির দাড়ি
এরই মধ্যে ভারতীয়দের ব্রোঞ্জ পদক জয়ের সেলিব্রেশন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। অলিম্পিক্সে এখনও পর্যন্ত ৩৪টি সোনা সহ মোট ৭৪টি পদক জিতেছে চীন। চীনের প্রসঙ্গ টেনে ভারতের সেলিব্রেশনকে কটাক্ষও করেছেন কংগ্রেস সাংসদ। থারুর ট্যুইটে লেখেন, আমরা অলিম্পিক্সে মাঝে মাঝে ব্রোঞ্জ পদক জিতে সেলিব্রেশন করি, অথচ চীনা ক্রীড়াবিদরা রুপো জেতায় তিরস্কারের সম্মুখীন হন।
বৃহস্পতিবার জার্মানিকে হার পুরুষদের হকিতে ব্রোঞ্জ জেতে ভারত। ৪১ বছর পর হকিতে পদক জেতায় দেশজুড়ে সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় দলকে ট্যুইটে শুভেচ্ছা জানানো ছাড়াও ফোন করে অধিনায়ক, কোচ সহ দলের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চতুর্থ স্তম্ভ: সংসদের কাজ আটকানোটাও গণতন্ত্র
বৃহস্পতিবার বিকেলেই ওই ট্যুইটটি করেন কংগ্রেস সাংসদ। তারুরের ট্যুইটের পরই তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উদ্ভট এবং ভুল বিবৃতি। ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তা সত্ত্বেও ভালো ফল করছেন। তাঁরা প্রশংসা ও উৎসাহ পাওয়ার যোগ্য। দয়া করে আপনার ট্যুইট মুছে দিন।
আরেকজনের কটাক্ষ, চীন আপনার মত মানুষের জন্য রোল মডেল হতে পারে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে ভারত কখনও তাদের অনুকরণ করতে চাইবে না। আমরা আমাদের ব্রোঞ্জ, রুপো এবং নন-মেডেলিস্টদের স্বাগত জানাব এবং তাঁদের উৎসাহিত করব, যতক্ষণ না তাঁরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন না হয়।