ওয়েবডেস্ক: প্রয়াত প্রবীণ কংগ্রেস নেতা (Senior Congress leader) ও প্রখ্যাত তামিল ভাষণকার কুমারী আনন্দন (Renowned Tamil orator Kumari Anandan) । আজ ভোর রাতেই জীবনাবসান হয় তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। রাজনীতিতে শোকের ছায়া।
তাঁর এক পুত্র ও চার কন্যা, যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বিজেপি নেত্রী ও তেলেঙ্গানার প্রাক্তন রাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দররাজন। রাজ্যের রাজ্যপাল আরএনরবি, মুখ্যমন্ত্রী এম. কে. স্টালিন (M K Stalin), বিরোধী নেতা এডাপ্পাড়ি কে. পলানিস্বামী সহ বহু নেতৃবৃন্দ তাঁর বাড়িতে গিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
তামিল ভাষার (Tamil Language) জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। সংসদে তামিল ভাষায় বক্তব্য রাখার জন্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তামিলনাড়ু বিধানসভাও তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে ২ মিনিট নীরবতা পালন করে।
‘ত্যাগের আলো’ উপাধিতে অভিহিত এই নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভায়কো সহ বহু নেতৃবৃন্দ। কুমারী আনন্দন তামিলনাড়ু কংগ্রেস কমিটির প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন।
আরও পড়ুন: চীনকে বাগে আনতে জলপথে নতুন ফন্দি আঁটছে আমেরিকা!
এক শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী স্টালিন জানিয়েছেন, কুমারী আনন্দন-এর মৃত্যু তামিল সমাজের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।” সরকার তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করেছে।
কুমারী আনন্দন গান্ধীবাদী আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ।
১৯৩৩ সালের ১৯ মার্চ কন্যাকুমারির অগস্তীশ্বরমে জন্ম নেনকুমারী আনন্দন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং তামিলে দ্বৈত স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী অনন্তন কামরাজের সহযোগী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন, ১৯৫৪ সালে কংগ্রেস দলে যোগদান করেন। ১৯৬৯ সালে কংগ্রেস দল ভেঙে গেলে, তিনি কামরাজের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস (সংগঠন) এর সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন।
১৯৭১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, তিনি উত্তর চেন্নাইয়ের ওয়াশারমেনপেট আসন থেকে কংগ্রেস (ও) টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ব্যর্থ হন। এই আসনটি তখন থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ততক্ষণে তিনি রাজ্য ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক হয়ে ওঠে। ১৯৭৭ সালে নাগারকোইল থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হন তিনি। তামিল ভাষা, সাহিত্য ও রাজনৈতিক জীবন ছিল তাঁর জীবনের তিনটি স্তম্ভ।
দেখুন অন্য খবর-