পাঁচটি বিয়ের পরে ষষ্ঠ বিয়ের পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু পুলিশের জালে ধরা পড়তে হল কানপুরের স্বঘোষিত ‘বাবা’কে। কারণ, তিনি কোনও স্ত্রীর থেকেই ডিভোর্স না-নিয়েই পরবর্তী দাম্পত্যে জড়িয়েছেন৷ বিয়ে করেছেন একটির পর একটি। ধৃতের নাম অনুজ চেতন কাঠারিয়া। কিন্তু নেটজগতে এই ‘গুণধরে’র নাম ‘লাকি পাণ্ডে’।
পুলিশ সূত্রে খবর, লাকি পাণ্ডে নামেই তিনি নানা মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতেন। বলা চলে ফাঁদ পেতে মহিলাদের নানা ভাবে আকৃষ্ট করতেন। এমনকী গ্রেপ্তারের পর দেখা যায়, ‘লাকি পাণ্ডে’ ফেসবুক প্রোফাইল থেকে ৩২ জন মহিলার সঙ্গে কথা চালাচ্ছিলেন অনুজ চেতন কাঠারিয়া। ‘লাকি পাণ্ডে’ নামেও তিনি বিয়ের ওয়েবসাইটগুলিতে নাম ভাঁড়িয়ে জাল বিছোতেন। সেখানে কোথাও নিজেকে সরকারি স্কুলের শিক্ষক বলে পরিচয় দিতেন। কোথাও বা তান্ত্রিক, পুরোহিত, স্বঘোষিত ধর্মগুরু সাজার ভান করতেন।
অনুজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০০৫ সালে প্রথমবার বিয়ে করেন অনুজ। সেই বিয়ের ডিভোর্সের মামলা এখনও আদালতে ঝুলে আছে। এর মধ্যেই ২০১০ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন অনুজ। পরবর্তীতে সেই বিয়েও ভেস্তে যায়৷ কিন্তু ডিভোর্সের মামলা ঝুলে আছে। এরপর তৃতীয় বিয়ে। পরে তৃতীয় স্ত্রীর তুতো বোনকেও বিয়ে করেন। পরে চেতনের আসল পরিচয় পেয়ে সেই মহিলা আত্মহত্যা করেন। চেতনের অবশ্য সে বিষয়ে কোনও হেলদোল ছিল না। ফের ২০১৯ সালে বিয়ে করেন তিনি। এই স্ত্রীই শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগ, একাধিক বিয়ের পাশাপাশি তাঁর উপরে লাগাতার শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতেন চেতন। এখানেই শেষ নয়, ২০১৬ সালে শাহজাহানপুরে তাঁর ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে৷ সেই সময় অনুজকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ৷