কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: মুসলিম মহিলাদের তিনি ‘নিদান দিয়েছিলেন’ হিন্দু মেয়েদের উত্যক্ত করলে মুসলিম মেয়েদের বাড়ি থেকে বার করে ধর্ষণ করার। সন্ত বজরং দাস মুনির এহেন মন্তব্যের পরেই সমালোচনা, বিতর্ক চরমে ওঠে। মুনির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয় পুলিসে। জাতীয় মহিলা কমিশনে তীব্র নিন্দা হয়। প্রবল চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত ঢোক গিলতে হল সন্ত মুনিরকে। বললেন, তাঁর ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তাহলে তিনি অনুতপ্ত, ক্ষমাপ্রার্থী।
নবরাত্রি ও হিন্দু নববর্ষ উপলক্ষে গত ২ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের খৈরাবাদ শহরে অনুগামীদের নিয়ে মিছিল বের করেছিলেন বজরং দাস মুনি৷ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মিছিল যখন একটি মসজিদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল তখনই ওই উস্কানিমূলক ভাষণ দেন বজরং দাস মুনি৷ ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, গাড়ির ভিতর চালকের পাশের আসনে বসে মাইকে অনুগামীদের উদ্দেশে ভাষণ রাখছেন এক গেরুয়া বসনধারী৷ বলছেন, ‘হিন্দু মেয়েদের উত্যক্ত করা হলে তোমাদের ঘর থেকে মহিলাদের বের করে এনে আমি ধর্ষণ করব৷ এই আমি খোলাখুলি বলে গেলাম’৷ সাধুর কথায় উল্লাসে ফেটে পড়েন তাঁর অনুরাগীরা৷ এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছি ছিক্কার পড়ে যায়৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন অনেকেই৷
তাঁর গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার উত্তরপ্রদেশ পুলিসের ডিজিকে চিঠি পাঠায় জাতীয় মহিলা কমিশন৷ সেখানে পুলিসের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে৷ মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা বলেন, ‘এই ধরনের অভিযোগের বহর দিন দিন বাড়ছে৷ ঘটনাস্থলে পুলিস থাকা সত্ত্বেও মহিলা বিরোধী মন্তব্য করা থেকে অভিযুক্তকে আটকায়নি পুলিস৷’ পরে সংবাদসংস্থা এএনআইকে রেখা শর্মা বলেন, ‘হিন্দু হোক কিংবা মুসলিম মহিলারাই এদের টার্গেট৷ এমন বহু অভিযোগ আমরা পেয়ে থাকি৷ সেগুলি পুলিসকেও পাঠিয়ে দিই৷ কিন্তু এ ধরনের ঘটনা কমার বদলে বেড়েই চলেছে৷’ শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে ক্ষমা চাইলেন সন্ত বজরং।
আরও পড়ুন- Pravin Togadia in Assam: দাড়ি-টুপি ধরে তাড়াব বাংলাদেশিদের, অসমে হুঙ্কার প্রবীণ তোগারিয়ার