নুহ: অগ্নিগর্ভ হরিয়ানার নুহতে আগামিকাল হিন্দুদের মহামিছিলকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসন মহামিছিলের অনুমতি না দিলেও সর্ব জাতীয় হিন্দু মহাপঞ্চায়েত সোমবার বিশাল শোভাযাত্রা বের করার ব্যাপারে অটল রয়েছে। ফলে নুহ সহ আশপাশের এলাকাগুলিতে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে পুলিশ ছাড়াও আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আন্তঃরাজ্য এবং আন্তঃজেলা সীমানাগুলিতে ব্যাপক নজরদারি করছে নিরাপত্তারক্ষীরা।
উল্লেখ্য, আগামী ৩-৭ সেপ্টেম্বর নুহতে জি ২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির শেরপা গ্রুপের বৈঠক বসার কথা নুহতে। সে কারণে হিন্দুদের ওই শোভাযাত্রায় অনুমতি দেয়নি পুলিশ। কিন্তু, সেসবকে তোয়াক্কা না করে আগামিকাল শোভাযাত্রা বেরবে বলে জানিয়ে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। মহামিছিলকে কেন্দ্র করে যাতে গুজব না রটে সে কারণে গতকাল থেকে আগামিকাল পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ের হোটেল গ্যালাক্সিতে আগুনে মৃত ৩, দগ্ধ ৫
রবিবার এডিজিপি মমতা সিং বলেন, যে কোনও ধরনের উত্তেজনা ঠেকাতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১৯০০ হরিয়ানা পুলিশের পাশাপাশি ২৪ কোম্পানি আধা জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকার বাসিন্দা ছাড়া বাইরে থেকে আসা কোনও ব্যক্তিকে নুহতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। জেলার সবকটি সীমানা সিল করে দেওয়া হয়েছে। মল্লার মন্দিরে যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, সর্ব জাতীয় হিন্দু মহাপঞ্চায়েত সোমবার ব্রিজমণ্ডল শোভাযাত্রার ডাক দিয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, এই ধরনের ধর্মীয় শোভাযাত্রার জন্য কোনও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। পুলিশ অনুমতি দিল কি দিল না তাতে কিছু যায় আসে না। নিরাপত্তার কারণে আগামিকাল নুহতে স্কুল-কলেজ, ব্যাঙ্কে ছুটি ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এছাড়াও গুচ্ছ এসএমএস, মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।