নয়াদিল্লি: কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন খোলা বাজারে আনার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ কমিটি। এর পর ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI) এই বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতিও দিয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের বিষয়টি কেন্দ্রের উপর নির্ভর করছে। এই বিষয়ে একেবারেই তাড়াহুড়ো করতে রাজি নয় কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ইঙ্গিত দিয়েছে, ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) খোলা বাজারে আনার আগে যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।
সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এবং ভারত বায়োটেক ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার কাছে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন তাদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন খোলা বাজারে আনার জন্য অনুমোদন চেয়ে আবেদনপত্র জমা দেয়। তার পরই এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বক্তব্য, ভ্যাকসিনের সরবরাহ, সংরক্ষণ, বণ্টন নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে ন্যাশানাল রেগুলেটরি বোর্ড।
কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন খোলা বাজারে আনার বিষয়ে যাবতীয় নীতি চূড়ান্ত হওয়ার পর কেন্দ্রে তরফে এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। কীভাবে ভ্যাকসিন বিক্রি করা হবে, কী দাম নেওয়া হবে, কারা কারা ভ্যাকসিন ক্রয়ে অগ্রাধিকার পাবেন তার উল্লেখ থাকবে ওই গাইডলাইনে। আপাতত ১৮ ঊর্ধ্বদের কোভিশিল্ড দেওয়া হচ্ছে। ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার ছাড়পত্র থাকায় ১৫ ঊর্ধ্ব সকলেই কোভ্যাকসিন পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: Uttarakhand Polls: উত্তরাখণ্ডে ৫৯ জনের নাম ঘোষণা বিজেপির, বাদ ১০ বিধায়ক
ভ্যাকসিন খোলা বাজারে মেলার বিষয়টি চূড়ান্ত না হলেও ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় হল, ভ্যাকসিনের কালোবাজারি। বর্তমানে হাসপাতাল এবং নার্সিংহোম থেকে সরকারি গাইডলাইন মেনে ভ্যাকসিন দেওয়া হলেও বিভিন্ন সময় কালোবাজারির অভিযোগ ওঠে। ফলে খোলা বাজারে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন পাওয়া গেলে কালোবাজারি আরও বাড়তে পারে।
কেন্দ্রের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ খোলা বাজারে ভ্যাকসিনের কালোবাজারি না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে ভ্যাকসিনের সংরক্ষণ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ভ্যাকসিন দুটি সংরক্ষণ করতে হয়। সেগুলির নির্দিষ্ট এক্সপায়ারি ডেটও রয়েছে। তাছাড়া একটি ভায়াল থেকে অনেকজনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, খোলা বাজারে আসার আগে ভ্যাকসিনের ভায়ালেও পরিবর্তন আনা হবে।