২০০২ সালে গোধরাকাণ্ড পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসা এবং বাবরি মসজিদ ধ্বংসে আদালত অবমাননা মামলা বন্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ, বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং গোধরা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে যা পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল সে সবগুলি বন্ধ করে দেওয়া হল। এ প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালতের উপলব্ধি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই মামলাগুলি ‘অকার্যকর’ হয়েছে।
মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়েছে, রাম জন্মভূমি বনাম বাবরি মসজিদ মামলা নিয়ে যা রায় দেওয়া হয়েছিল, তারপর বেশ খানিকটা সময় কেটে গিয়েছে। তাই আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলাগুলি ভিত্তিহীন। পাশাপাশি,গোধরা কাণ্ডের পরে গুজরাতের সাম্প্রদায়িক হিংসা সংক্রান্ত ন’টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তার মধ্যে আটটি মামলার তদন্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারী দল। সেই কারণেই এই দু’টি ঘটনা সংক্রান্ত মামলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এদিন সুপ্রিম কোর্ট আরও বলে, “ইতিমধ্যেই মামলাগুলি সম্পর্কে রায় দিয়েছে বৃহত্তর বেঞ্চগুলি। নতুন করে বিচার করার জন্য আর কিছুই বাকি নেই। একই মামলা বারবার বিচার করার অর্থ মৃত ঘোড়াকে টেনে নিয়ে যাওয়া। আবেদনকারীদের মধ্যে অনেকেই মারা গিয়েছেন। সব মিলিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মামলাগুলি বন্ধ করে দেওয়াই ভাল।
তবে, সমাজকর্মী তিস্তা শীতলবাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত চলবে। তাঁর বিরুদ্ধে ২০০২ সালে গুজরাত হিংসার পরে ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছিল। গত জুন মাসে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটি সাক্ষাৎকারে তিস্তার বিরুদ্ধে ২০০২ গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে পুলিশের কাছে ভিত্তিহীন তথ্য দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন।