নয়াদিল্লি: দিল্লি বিধানসভা (Delhi Assemble Session) অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিধানসভায় আপের বিরুদ্ধে ক্যাগ রিপোর্ট (Cag Report ) পেশ করেছে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা (CM Rekha Gupta)। সেই ক্যাগ রিপোর্ট অনুযায়ী আম আদমি পার্টির (AAP) সরকারের শাসনকালে সরকারি অর্থ খরচের রিপোর্ট পেশ করেছে ক্যাগ। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লির মদকাণ্ডে (excise policy) রাজ্য সরকারের ২০০২ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। সরকারি কোষাগারে জমা হওয়ার পরিবর্তে ওই টাকা ব্যবসায়ীদের ঘরে গিয়েছে।
১৪টি বিষয়ের ক্যাগ রিপোর্ট বিধানসভায় জমা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা। আবগারি ক্ষেত্রে ১৬৬ পাতার যে ক্যাগ রিপোর্টে ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১ এই চার বছরে সরকারের ভুল নীতির কারণে ক্ষতি হয়েছে ২০০২ কোটি টাকা।
রাজ্য অর্থ দফতরের রিপোর্ট (২০২১, ২০২২ ও ২০২৩), রাজস্ব, আর্থিক, সামাজিক এবং সাধারণ ক্ষেত্র ও রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্র (২০২০ ও ২০২১), গাড়ির দূষণজনিত প্রতিরোধ ব্যবস্থামূলক পারফরম্যান্স (২০২১), শিশু সুরক্ষা এবং প্রতিরোধ ক্ষেত্র, আবগারি সরবরাহ সংক্রান্ত প্রশাসনিক দক্ষতা, স্বাস্থ্য বিভাগ, দিল্লি পরিবহণ নিগম এবং ভারতের কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের কাজের অডিট রিপোর্ট।
আরও পড়ুন: ইউপির সরকারি কর্মীদের ‘সরকারি হাসপাতালে’ চিকিৎসা, হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
ক্ষতির পরিমাণ পাহাড় প্রমাণ। যে সব লাইসেন্সগুলি সারেন্ডার করে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি আবার চালু না করার কারণে সরকারের ক্ষতি হয় ৮৯০ কোটি টাকা। এই দেরির কারণে ও মদের দোকানগুলি বন্ধ থাকার জেরে আরও ৯৪১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীদের করছাড় দেওয়ার কারণে আরও ১৪৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। জোনাল লাইসেন্স ধারকদের থেকে নির্দিষ্ট সিকিউরিটি ডিপোজিট না নেওয়ার কারণে ক্ষতি হয়েছে ২৭ কোটি টাকার।
দিল্লির মদকাণ্ড নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে কম জলঘোলা হয়নি। সেই সময় অভিযোগ ওঠে, লাভবান হওয়া ব্যবসায়ীরা সেই সময় মোটা টাকা ঘুষ দেয়। দলীয় তহবিলের জন্য টাকা গোছাতে আনা হয় আবগারি নীতি।
দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI) ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) মদকাণ্ডের তদন্তে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arbind Kejriwal), উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া (Manish Shisodia) -সহ আগের সরকারের একাধিক মন্ত্রী এবং আপের বিধায়ক, সাংসদ ছাড়াও বিগত শাসক দলের বিরুদ্ধেও চার্জশিট দিয়েছে। সিএজি রিপোর্টে দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তকেই মান্যতা দিয়েছে। ফলে এই ইস্যুতে বিজেপির মনোবল আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: