কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: চলতি মাসে শুনানি চলাকালীন বিস্ফোরণ হয়েছিল রোহিণী কোর্ট চত্বরে (Rohini Court)। আদালতে বিস্ফোরক রাখার কারণে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন(Defence Research and Development Organisation)-র এক বিজ্ঞানীকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিসের স্পেশ্যাল সেল। অভিযুক্ত ওই বিজ্ঞানীকে বমি ও পেটে ব্যথার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছি, অভিযুক্ত লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ খেয়েছেন।
দিল্লি পুলিসের সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত ভূষণ কাটারিয়া (৪৭)- কে শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করেছিল পুলিস। আচমকাই ওই বিজ্ঞানীর পেটে ব্যথা ও বমি হতে শুরু করে। হাসপাতালের তরফ থেকে পুলিসকে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত ভারত ভূষণ কাটারিয়া হ্যান্ডওয়াশ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাঁর পেট থেকে হ্যান্ডওয়াশ পাওয়া গিয়েছে। যদিও অভিযুক্ত এই বিষয়টি অস্বীকার করে।
সূত্রের খবর, বিজ্ঞানী ভারত ভূষণ কাটারিয়ার সঙ্গে পুরানো শত্রুতা ছিল তাঁরই এক প্রতিবেশী আইনজীবীর। রোহিণী কোর্ট চত্বরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ওই আইনজীবীকেই খুন করতে চেয়েছিলেন বিজ্ঞানী। আর সেই কারণেই রোহিণী আদালতের ১০২ নম্বর ঘরে বোমা রেখে দিয়েছিলেন। একটি ল্যাপটপ ব্যাগের মধ্যে টিফিনবক্সে বোমাটি রাখা ছিল। ওই বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন এক ব্যক্তি।
আরও পড়ুন – Panama papers scandal: পানামা পেপার কাণ্ডে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে ইডির তলব
এরপরেই সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ডিআরডিওর ওই বিজ্ঞানীকে চিহ্নিত করে দিল্লি পুলিসের স্পেশ্যাল সেল। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর শনিবার রাত্রে জেলের ভেতরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ভারত ভূষণ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বাবা সাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির এইমস হাসপাতালে।