কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির ডোরান্ডা ট্রেজারি (Doranda treasury) মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে লালু প্রসাদ যাদবকে (Lalu Prasad Yadav)।এই প্রথম নয় এর আগেও চার বার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাঁকে। পঞ্চম মামলায় (5th Fodder Scam Case) আরজেডি সুপ্রিমো লালু যাদবকে ১৩৯.৩৫ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হল মঙ্গলবার। আগামি ১৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর শাস্তি ঘোষণা করা হবে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলার শুনানি শুরু হয়। যে মামলা চলে চলতি বছর জানুয়ারি পর্যন্ত। গত ২৯ জানুয়ারি, রাঁচির সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে (CBI court in Jharkhand’s Ranchi) বিচারক এসকে শশীর এই মামলার শুনানি শেষ করেন। মঙ্গলবার এই মামলার রায় দান করে আদালত। শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত থাকার জন্য রবিবারই রাঁচিতে পৌঁছেছেন আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি চলে লালু প্রসাদ যাদবের মুখ্যমন্ত্রী (Lalu Yadav was Chief Minister) থাকাকালীন অর্থাৎ ১৯৯১-১৯৯৬ সালে। ডোরান্ডা ট্রেজারি ছাড়াও এর আগে দুমকা, দেওঘর এবং চাইবাসার ট্রেজারি দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে। ডোরান্ডা ট্রেজারি পঞ্চম পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলা। তবে, এদিন লালু প্রসাদকে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও কোনও শাস্তি ঘোষণা করেনি আদালত। যে কারণে মনে করা হচ্ছে লালুর শারীরিক অবস্থার কারণেই সিবিআই তাঁকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন- Air India New CEO: ইলকার আয়সির হাতে এয়ার ইন্ডিয়ার দায়িত্ব দিল টাটা
ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলায় অভিযুক্ত ছিল মোট ১৭০ জন। যাদের মধ্যে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতজন রাজসাক্ষী হয়েছেন, দুজন তাদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন এবং ছ’জন ফেরার। বর্তমানে লালুপ্রসাদ যাদব সহ ৯৯ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা চলছিল।
লালুপ্রসাদ ছাড়াও প্রাক্তন সাংসদ জগদীশ শর্মা (Jagdish Sharma), সেই সময়ের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান ধ্রুব ভগত (Dhruv Bhagat), পশুপালন দফতরের সচিব বেক জুলিয়াস (Beck Julius) এবং পশুপালন দফতরের ডেপুটি ডাইরেক্টর ডঃ কে এম প্রসাদের (Dr K M Prasad) নামও এই মামলায় রয়েছে।