কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: রামবন টানেল ধসে নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারকাজ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ধসে আটকে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শনিবার পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বছর ৩১-এর শ্রমিক সুধীর রায়ের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও অন্য তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত নজন আটকে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন জম্মু-শ্রীনগরের জাতীয় সড়কে যানবাহন স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে রামবন জেলার খনি নাল্লা এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গ ধসে নিখোঁজদের উদ্ধার করতে শনিবার ভোর থেকে অভিযান শুরু হয়েছে। এক কর্মকর্তা জানান, খুনি নাল্লার টানেল সাইটে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়া নয়জন নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার অভিযান ভোর শনিবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, এসডিআরএফ, কিউআরটি এবং সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভূমিধস ও বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়।
উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীরে সুড়ঙ্গ ধসে পশ্চিমবঙ্গের ৫ বাসিন্দা-সহ ১০ জন আটকে পড়ে। রাজ্যের যে ৫ জন শ্রমিক দুর্ঘটনায় পড়েছেন তাঁরা সকলেই ধূপগুড়ির বাসিন্দা। তাঁদের নাম যাদব রায় (২৩), গৌতম রায় (২২), সুধীর রায় (৩১), দীপক রায় (৩৩) ও পরিমল রায় (৩৮)। বৃহস্পতিবার রাতে এই দুর্ঘটনার পরই উদ্ধারকার্য চলছে। তবে সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনও যাঁরা আটকে রয়েছেন, তাঁদের বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
নির্মীয়মাণ চার লেনের জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ চলছে বহুদিন ধরেই। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রামবন জেলা খুনিনালা এলাকায়। শুক্রবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ব্যক্তিদের জীবিত থাকার সম্ভাবনা কম। চারদিকে ছড়িয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ তাড়াতাড়ি সরানো সম্ভব নয়। উদ্ধারকার্যে সেনা নামানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৪-৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।