ওয়েবডেস্ক- সংশোধিত ওয়াকফ আইনের (Amended Waqf Act) সাংবিধানিকতা (Constitutionality) নিয়ে বৃহস্পতিবার শুনানি হল সুপ্রিম কোর্টে(Supeme Court)। বুধবারের পর এদিনও দেশজুড়ে সকলের নজর ছিল শীর্ষ আদালতের দিকে। মোট ৭২টি মামলা শুনতে বসেছিলেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
সেখানেই এই রায় দিলেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ওয়াকফে আপাতত নিয়োগ স্থগিত করলেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। সেইঙ্গে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা চলাকালীন আদালত জানিয়ে দেয়, মামলা চলাকালীন বাতিল করা হবে না, ঘোষিত ওয়াকফ সম্পত্তি।
ওয়াকফ বিলের সমর্থনে ৬ রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার সুযোগ। ওয়াকফ সংক্রান্ত নতুন কোনও মামলা নেওয়া হবে না। আবেদনকারী ও কেন্দ্রকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ। উভয়পক্ষের হলফনামা খতিয় দেখবে কোর্ট। হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ প্রধান বিচারপতির। আদালতকে আশ্বস্ত করল কেন্দ্র।
আরও পড়ুন-সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনায় ধনখড়ের মন্তব্য অনৈতিক: ডিএমকে
১৯৯৫ ও ২০১৩ ওয়াকফ সংশোধনী আইনি নিয়ে মামলা। এই মামলার শুনানি হবে, একই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। ওয়াকফ আইন নিয়ে এবার কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী সাত দিনের মধ্য়ে কেন্দ্রকে জবাব দিতে হবে। রাজ্য সরকার এবং ওয়াকফ বোর্ডকেও এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে হবে আদালতে। সেই সময়ের মধ্যে ওয়াকফ বোর্ড এবং কাউন্সিলে নতুন কোনও নিয়োগ করা যাবে না।
সাংবাদিকদের সামনে মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (MIM chief Asaduddin Owaisi) বলেন, আইনকে বুঝতে হবে। আমি সংসদে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে। লিগ্যালই সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছি।
উল্লেখ্য, সংশোধিত ওয়াকফ আইন পাস নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, ভাঙ্গর সব দিকেই পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের আকার নেয়। গতকাল নেতাজি ইন্ডোর থেকে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, এত তাড়াহুড়ো করে বিল পাসের প্রয়োজন কি ছিল? সেই সঙ্গে তিনি রাজ্যের মুসলিম সমাজকে আশ্বস্ত করেন, তিনি থাকতে বাংলায় এই আইন পাস হতে তিনি দেবেন না।
দেখুন আরও খবর-