লখনউ: রাম মন্দির নিয়ে রাজনীতি দীর্ঘদিনের। যার বড় ফায়দা তুলছে বিজেপি। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দেয়। তখন অবশ্য লোকসভা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। ২০২০ সালের অগস্ট মাসে ভিত পুজো হয় ওই মন্দিরের। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৫ সালে ওই মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন- মুক্তিযুদ্ধের স্বর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে বিজয় মশাল পৌঁছল সিয়াচিনে
কিন্তু নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই চালু হয়ে যাবে রাম মন্দির। সৌজন্যে অবশ্যই ভোটের রাজনীতি। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগেই ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে রাম মন্দিরের দরজা। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। তারপরে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে কাজরিওয়াল-মমতাসহ অনেক বিরোধী নেতানেত্রী বলেছিলেন, ‘রাম মন্দির কিন্তু হয়নি।’
আরও পড়ুন- অক্সিমিটারের ভাড়া ৫০০ টাকা, বাঁকুড়ার বেসরকারি হাসপাতালে হানা স্বাস্থ্য দফতরের
সেই জবাব অবশ্য দিয়েছে বিজেপি। কিন্তু হারিয়ে গিয়েছে রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে ভোটের ইস্যু। সেই কারণেই অসমাপ্ত মন্দির ভক্তদের জন্য ভোটের আগেই খুলে দিতে চাইছে সরকার। ২০২৩ আলের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই অযোধ্যার রাম মন্দির খুলে দেওয়া হবে ভক্তদের জন্য। প্রশাসনিক সূত্রের উল্লেখ করে এই খবর প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা। সমগ্র মন্দির চত্বরে মিউজিয়াম, ডিজিটাল আর্কাইভ এবং রিসার্চ সেন্টার থাকছে। সবকিছু তৈরির কাজ সম্পন্ন হতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে বলেও জানিয়েছে ওই সংবাদ সংস্থা।
আরও পড়ুন- সুন্দরবনের পুলিশ আধিকারিকের নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা, মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত
ভিতের কাজ শুরু হয়েছে গত বছরেই। চলতি বছরের অক্টোবর মাসের মধ্যে তা শেষ হয়ে যাবে। তারপরে মেঝে তৈরির কাজ শুরু হবে। এমনই জানিয়েছে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। ওই ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন যে তিন জায়গা থেকে পাথর নিয়ে আসা হচ্ছে মন্দির নির্মাণের জন্য। করোনা আবহেও কাজ বন্ধ হয়নি। মূল মন্দির নির্মাণের ৭০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। কর্মীরা ১২ ঘণ্টা করে দিনের দুই শিফটে কাজ করছেন।
হায়দরাবাদের ন্যাশনাল জিও রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবং আইআইটি গুয়াহাটির দক্ষ ব্যক্তিদের থেকে পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে মন্দির নির্মাণের জন্য। ২০২৪ সালের শেষের দিকের মধ্যে মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যাবে বলেই মনে করছে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র। তবে মন্দির নির্মাণের প্রথম পর্যায়ের কাজ ২০২২ সালের মধ্যেই হয়ে যাবে বলেও দাবি করা হচ্ছে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে।