নয়াদিল্লি: দিল্লি পুলিশ কমিশনার হিসেবে রাকেশ আস্থানার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা আবেদন খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট। এর আগে এই নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রের কাছে জবাব চেয়েছিল আদালত। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি ২৮৮ পাতার উত্তর দেয় কেন্দ্র। রাকেশ আস্থানার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে মামলা করেছিল সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন (সিপিআইএল)। চলতি বছরের ৩১ জুলাই অবসর নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। তার চারদিন আগে চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে দিল্লি পুলিশ কমিশনার করা হয় রাকেশকে।
সিপিআইএল আবেদনে বলেছিল, আস্থানার ন্যূনতম মেয়াদ ৬ মাস ছিল না, তাই তাঁর নিয়োগের জন্য কোনও ইউপিএসসি প্যানেল গঠন করা হয়নি। এক্ষেত্রে ন্যূনতম দুই বছরের মেয়াদের নিয়ম উপেক্ষা করা হয়েছিল। গুজরাত ক্যাডারের আইপিএস রাকেশ দিল্লি হাইকোর্টে হলফনামা দাখিল করে বলেছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়ার অপব্যবহার এবং প্রতিশোধের উদ্দেশ্যেই এমনটা করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, যখন তাঁকে সিবিআইয়ের ডিরেক্টর করা হয়েছে, তখন থেকেই কিছু সংস্থা তাঁকে টার্গেট করছে।
আরও পড়ুন: BREAKING দিল্লির নতুন পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা
অবসরের চারদিন আগে রাকেশ আস্থানাকে দিল্লির পুলিশ কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করেছিল কেন্দ্র। সেই সময় পুলিশ কমিশনার হিসেবে আস্থানার নিয়োগের বিরুদ্ধে দিল্লি বিধানসভায় একটি প্রস্তাব পাস করা হয় এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে এই নিয়োগ প্রত্যাহার করতে বলা হয়। আম আদমি পার্টির অভিযোগ, ‘এই নিয়োগ সুপ্রিম কোর্টের আদেশের অবমাননা। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ডিজিপি স্তরে নিয়োগ করতে হলে তাঁর চাকরির মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতেই হবে। এক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি।’ বালাজি শ্রীবাস্তবের জায়গায় রাকেশ আস্থাকে দিল্লি পুলিশ কমিশনার করা হয়েছিল।
১৯৮৪ সালের গুজরাত আইপিএস ব্যাচের অফিসার রাকেশ আস্থানা। বিতর্কে জড়িয়ে পড়ায় ২০১৮ সালে সিবিআইয়ের পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের প্রধান হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন বেশ কিছুদিন। সেখান থেকে ২৭ জুলাই দিল্লি পুলিশ কমিশনার হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল তাঁকে। ২০১৭ সালে সিবিআই-এর স্পেশাল ডিরেক্টর পদে বসানো হয়েছিল আস্থানাকে। অপরাধমূলক ঘটনার তদন্তে তাঁর অভিজ্ঞতা যথেষ্ট রয়েছে। গুজরাতে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দক্ষতার পরিচয় দেন।
আরও পড়ুন: রাকেশ আস্থানা কেন দিল্লি পুলিশ কমিশনার? ২৮৮ পাতার উত্তর দিল কেন্দ্র