সত্যি, সব্যসাচী মানে আমাদের শহরের পেপসি৷ জানেন বটে, কীভাবে বাঙালিয়ানাকে লাইমলাইটে নিয়ে আসতে হয়। অনুষ্কা থেকে রানী, করিনা থেকে সোনম কপূর৷ বিয়ে মানেই সব্য’র তৈরি করা শাড়ি। প্রত্যেকের জন্য আলাদা চমক। যা দেশে তো বটেই, দুনিয়ার ফ্যাশন সার্কিটে আলোড়ন ফেলে দেয়। এবার পত্রলেখা। নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে শকুন্তলার প্রেম আখ্যান। সোমবার চণ্ডীগড়ের বিলাসবহুল রিসর্টে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন পত্রলেখা পাল ও রাজকুমার রাও।
https://www.instagram.com/p/CWTG_rEpkzq/?utm_medium=copy_link
নতুন কনে পত্রলেখা বাঙালি মেয়ে। তাই বিয়ের আসরে সাবেকী বাঙালি সাজেই দেখা মিলেছে তাঁর। বাঙালি ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের ডিজাইন করা লাল লেহঙ্গায় সেজে ছিলেন কনে। মাথায় ছিল লাল ওড়না। ওড়নার পাড়ে জরি দিয়ে লেখা ভালবাসার কথা – ‘আমার পরান ভরা ভালোবাসা৷ আমি তোমায় সমর্পণ করিলাম’! স্বাভাবিক ভাবেই বাঙালি মেয়ের বাংলাপ্রীতিতে মুগ্ধ নেটিজেন। বাংলা ভাষা যখন আস্তে আস্তে প্রায় ভুলতে বসেছে বাঙালিরাও। তখন সব্যসাচী কামাল করলেন সেই ভাষাতেই। শকুন্তলার আখ্যান থেকে একটা প্রেমের লাইনকে নিয়ে এলেন নিজের কাজে। মিশিয়ে দিলেন শাড়ির কারুকাজের সঙ্গে। আর তাতেই কামাল। গোটা ফ্যাশন দুনিয়া জুড়ে প্রশংসা, নেট দুনিয়ায় ট্রেন্ডিং। আসলে পেপসি জানে সৌন্দর্যের সঙ্গে কীভাবে ট্র্যাডিশন এবং সংস্কৃতির মিল ঘটাতে হয়।
অবশ্য এটা পেপসির কাছে নতুন কিছু নয়। বাংলা ভাষা এবং বাঙালিয়ানাকে বিশ্বের দরবারে সুচারুভাবে ব্যবহারে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। এর আগে শহর কলকাতার অলি গলির যান অটোকে সাজিয়ে নিলামে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন গোটা দুনিয়াকে। তাঁর তৈরি শাড়ি মানেই আভিজাত্যের প্রতীক। বিয়ে বা যেমকোনও অনুষ্ঠানে সব্যর শাড়ি মানেই সবার থেকে আলাদা। আবার মঙ্গলসূত্র লঞ্চ-এর ছবি দিয়ে এক লহমায় তৈরি করেছিলেন বিতর্ক। শুধুমাত্র রং, তুলি আর সুতো নয়, পেপসি ভালোবাসেন মস্তিস্ক ব্যবহার করে বাঙালিয়ানা ও তাঁর সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে। আর তাইতো করিনা থেকে পত্রলেখা – সব্বাই ছাদনাতলায় সব্যর হাত ধরেই পরিপূর্ণ ভারতীয় নারী হয়ে উঠতে চান। পশ্চিমি ফ্যাশন এর যুগেও সব্যই ভারতীয় সংস্কৃতির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডার।