ওয়েবডেস্ক- স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দশমী, দীপাবলিতে (Deepabali) সীমান্তে ভারত (India) -পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে মিষ্টি বিনিময়ের রেওয়াজ আছে। কিন্তু এবার পাক রেঞ্জার্সের সঙ্গে এই মিষ্টি বিনিময়ের প্রথা (Sweet Diplomacy) পালন করল না রাজস্থান সীমান্ত (Rajasthan Border)। পাক রেঞ্জার্সদের (Pakistan Rangers) সঙ্গে দীপাবলির সমস্ত ঐতিহ্য পালন এবার বন্ধ রাখা হল।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (Union Home Ministry) নির্দেশ মেনে রাজস্থানের সীমান্ত চৌকিতে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী দীপাবলি মিষ্টি বিনিময় অনুষ্ঠান বাদ দিয়েছে ভারত। পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই এই রীতিটিকে স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতের কথায় প্রতীকী সদিচ্ছা আর পিছনে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সহবস্থান দুটি একসঙ্গে চলতে পারে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (BSF) কে এই বছর ভারত-পাক সীমান্তে ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি বিনিময়ে পালন না করার নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশাবলী অনুসরণ করে শ্রীগঙ্গানগর, বিকানের, জয়সলমীর এবং বারমেরের সাথে রাজস্থান সীমান্ত চৌকিতে কোনও মিষ্টি বিনিময় করে বিএসএফ সদস্যরা।
কয়েক দশক ধরে, ভারতীয় ও পাকিস্তানি সৈন্যরা স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস, হোলি, দীপাবলি এবং ঈদের মতো জাতীয় ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মিষ্টি এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করে আসছে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা সত্ত্বেও সদিচ্ছা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার প্রতীক।
আরও পড়ুন- মারাঠা দুর্গে নামাজ পাঠ! গোমূত্র ছড়িয়ে শুদ্ধিকরণ BJP সাংসদের
গত ২২ এপ্রিল পহেলগামের হত্যাকাণ্ডের সর্ব প্রথম গত ১৫ আগস্ট মিষ্টি বিনিময় বন্ধ রাখে বিএসএফ। একজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, পাকিস্তানের প্রতি নয়াদিল্লির বার্তা স্পষ্ট – “যতক্ষণ সীমান্ত পার সন্ত্রাসবাদ অব্যাহত থাকবে, ততক্ষণ এই ধরনের প্রতীকী পদক্ষেপ স্থগিত থাকবে।”
বছরের পর বছর ধরে, বিএসএফ এবং পাকিস্তান রেঞ্জার্সের মধ্যে মিষ্টি বিনিময় শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার দিকে একটি ছোট কিন্তু প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। মিঠি ঈদ, ঈদুল আযহা এবং দীপাবলির মতো উৎসবগুলিতে, উভয় পক্ষ ঐতিহ্যগতভাবে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে মিষ্টির ট্রে দিয়ে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানায়। কিন্তু এই দীপাবলিতে রাজস্থান সীমান্ত শান্ত ছিল।
দেখুন আরও খবর-