শ্রীনগর: ভারতীয় রাজনীতির ধর্ম বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের দেখা গিয়েছে নানাবিধ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সামিল হতে। ‘আমি তোমাদেরই লোক’- এটাই প্রমাণ করতে চান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বেরা। এই অবস্থায় শ্রীনগরে গিয়ে নিজেকে কাশ্মীরি প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ধর্মীয় পরিচয় ভুলে কেবল কাশ্মীরি হতে মন্দির-মসজিদেও গেলেন তিনি।
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় গ্রেফতার তৃণমূল কর্মীদের ১৬ অগস্ট পর্যন্ত জেলা হেফাজতের নির্দেশ আদালতের
দুই দিনের সফরে কাশ্মীরে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী। সেই সফরে মঙ্গলবার সকালের দিকে কাশ্মীরের গান্দেরবাল জেলার মাতা ক্ষীর ভবানীর মন্দিরে যান তিনি। সেখানে নিয়ম মেনে পুজো করেন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে কাটান তিনি। সেখান থেকে শ্রীনগরের বিখ্যাত এবং ঐতিহ্যবাহী হজরতবাল মসজিদে যান রাহুল। সেখান থেকে বেরিয়ে জম্মু-কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যালয় উদ্বোধন করেন তিনি।
আরও পড়ুন- দরজায় তালিবান, আফগানিস্তান থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে বিশেষ বিমানের তোড়জোড়
সেখানেই কর্মীদের বক্তব্য রাখতে গিয়ে রহুল গান্ধী বলেছেন, “এখন আমি এবং আমার পরিবার দিল্লিতে থাকি। তার আগে আমরা এলাহাবাদে থাকতাম। তারও আগে আমাদের নিবাস ছিল এই কাশ্মীর। সেই কারণে আমি প্রকৃত কাশ্মীরি। আমার মধ্যে কাশ্মীরিয়াত পরিপূর্ণ রয়েছে। সৌভাতৃত্ব আমাদের মূল বৈশিষ্ট। সেই কারণে আমায় কখন হিংসা বা ঘৃণা ছড়াতে দেখবেন না।”
আরও পড়ুন- প্রার্থীর ক্রিমিনাল রেকর্ডস গোপন, কংগ্রেস, বিজেপি-সহ ৯টি রাজনৈতিক দলকে জরিমানা সুপ্রিম কোর্টের
চেনা ছন্দে কাশ্মীরে গিয়ে কেন্দ্রীয় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন রাহুল গান্ধী। কাশ্মীরে হামলার মাধ্যমে সমগ্র দেশের উপরে হামলা চালানো হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে। একের পর এক অনৈতিক কাজ করে চলেছে কেন্দ্র। কিন্তু সংসদে জনপ্রতিনিধিদের মুখ বন্ধ করে রাখা হচ্ছে। রহুল আরও বলেছেন, “অবিলম্বে কাশ্মীরকে পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে। রাজ্য জুড়ে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করে সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”