কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে শুক্রবার তুলকালাম ঘটল দিল্লিতে। সংসদ ভবন থেকে বেরনোর মুখেই পুলিস আটকে দেয় রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ কংগ্রেস নেতাদের। বিজয় চকে বাধা দেওয়া হয় প্রিয়াঙ্কাকে। তিনি দলবল নিয়ে রাস্তাতেই বসে পড়েন। প্রিয়াঙ্কা, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত প্রমুখ রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ঠেলতে ঠেলতে এগিয়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যেই দিল্লি পুলিস তাঁদের আটকে দেয়। আটক করা হয় রাহুল, প্রিয়াঙ্কা-সহ একাধিক কংগ্রেস নেতাকে। বিক্ষোভে শামিল হন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও।
মূল্যবৃদ্ধি, জিএসটি প্রত্যাহার, গ্যাসের লাগামছাড়া দাম প্রভৃতি ইস্যুকে সামনে রেখে কংগ্রেস এদিন সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক দেয়। দিল্লিতে কংগ্রেসের কর্মসূচি ছিল প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও। সাংসদদের যাওয়ার কথা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন রাজ্যেও এদিন কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। দিল্লির অভিযান ঘিরে কংগ্রেস ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিল। আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরে এর জন্য বিরায় ম্যারাপ বাঁধা হয়। রাতে থাকারও ব্যবস্থা করা হয়। বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিস কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপালকে চিঠি দিয়ে জানায়, সু্প্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী যন্তর মন্তর ছাড়া দিল্লির আর কোথাও সভা, জমায়েত, মিছিল করা যাবে না। করলে পুলিস কড়া ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। বেণুগোপাল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়ে দেন, পুলিস বাধা দিলেও কংগ্রেসের কর্মসূচি বহাল থাকবে।
কংগ্রেেসর ওই অভিযান ঘিরে দিল্লি পুলিস সংসদ ভবনেনর চারদিকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে। সংসদ ভবন থেকে যাতে কংগ্রেস সাংসদরা বেরতে না পারেন, তার জন্য লোহার ব্যারিকেড দিয়ে সংসদ ভবন ঘিরে দেওয়া হয়। রাহুল, সোনিয়ার বাড়ির রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিন সকাল থেকেই দিল্লিতে বৃষ্টি চলে। সেই বৃষ্টির মধ্যেই কংগ্রেস নেতারা মিছিল শুরু করেন। তাঁদের সঙ্গে পুলিসের ধস্তাধস্তি হয়।
তার আগেই সকালে সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল চড়া সুরে বিজেপিকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, কংগ্রেস লাগাতার বিজেপির সমালোচনা করছে বলেই কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই লেলিয়ে দিচ্ছে। আমরা অবশ্য তাতে ভয় পাই না। মোদি-শাহের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের লড়াই চলবে। পুলিসের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর অধীর চৌধুরীকে পাশে নিয়ে রাহুল বলেন, আজ যা হল, তা গণতন্ত্রের লজ্জা। আমরা মানুষের নিত্যদিনের সমস্যা নিয়ে আন্দোলনে নেমেছি। জিএসটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি। মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করছি, বেরোজগারি দূর করার দাবি করছি। তাই কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠেছে। কংগ্রেস নেতাদের ইডি, সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, এদিন বিনা প্ররোচনায় পুলিস বিক্ষোভরত কংগ্রেস কর্মীদের উপর অত্যাচার করে।